আজকাল ওয়েবডেস্ক: একাধারে তিনি মডেল এবং কমেডিয়ান। নাম কার্লি ইলেকট্রিক। পদবী শুনে অদ্ভুত মনে হচ্ছে তো? এহেন পদবী ব্যবহার করার কারণটি আরও অদ্ভুত। কার্লি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা। অল্প বয়স থেকেই একটি অদ্ভুত নেশা ছিল তাঁর। ঝড়ের ছবি তোলার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি ছুটে বেড়াতেন ঝড়ের ছবি তুলতে। আর এই কাজ করতে করতেই ঘটে যায় এমন এক ঘটনা যা চিরতরে পাল্টে দেয় তরুণীর জীবন।

২০২৩ সালে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ের ছবি তুলতে গিয়ে তড়িদাহত হন কার্লি। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ছবি তুলছিলেন তাঁর অদূরেই বাজ পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেখা যায়, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। বিজ্ঞানের ভাষায় বিষয়টিকে বলে ‘কেরাউনোপ্যারালাইসিস’। কখনও কখনও কেউ মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় যদি আশপাশে বাজ পড়ে তবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান পরিবাহী হিসাবে কাজ করতে পারে। এবং অল্প মাত্রার স্থিরতড়িৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এখানে মাথায় রাখতে হবে, বিজ্ঞানের ভাষায় ‘অল্প মাত্রা’ বলা হলেও মানবদেহের জন্য তা মারাত্মক। এই অবস্থায় সেই তড়িৎ আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্রকে আঘাত করে। একেই বলে ‘কেরাউনোপ্যারালাইসিস’। চিকিৎসকেরা জানান এমন ঘটনা দশ লাখে একবার দেখা দেখা যায়। যেখানে এত কাছে বজ্রপাত হওয়ার পরেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন কেউ। 

অবাক করা বিষয়, মিনিট কুড়ি পরেই জ্ঞান ফিরে আসে কার্লির। কী ঘটেছিল সেটা যদিও তিনি মনে করতে পারেননি। নয় ঘণ্টা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিল তাঁর গোটা শরীর। হাত পায়ের রং নীল হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরাও ভাবতে পারেননি যে প্রাণে বেঁচে যাবেন তরুণী। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর নিজের পদবী বদলে নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু পদবী নয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর বদলে গিয়েছে আরও একটি অঙ্গের রং। কার্লি জানিয়েছেন, তাঁর চোখের মণির রং পাল্টে গিয়েছে। আগে তাঁর চোখের মণির রং ছিল হলদেটে। এখন হয়ে গিয়েছে গাঢ় বাদামি।