১৯৯৭ সালের ১১ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল সানি দেওলের অ্যাকশন–ড্রামা ‘জিদ্দি’। আবেগে মোড়া সেই গল্প দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল মুহূর্তেই। ছবিতে “দেবা” নামের এক ন্যায়পরায়ণ যুবকের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সানিকে—যিনি আইন নিজের হাতে তুলে নেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন গুড্ডু ধানোয়া, যার পরিচালনায় অভিষেক হয়েছিল আগেই ‘অ্যায়লান’–এর মাধ্যমে।
2
7
সানি দেওল, রবিনা ট্যান্ডন, অনুপম খের, ফরিদা জালাল, রাজ বব্বর, শরৎ সাক্সেনা—একাধিক তারকায় ভরপুর ছিল ছবিটি। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন দিলীপ সেন ও সমীর সেন। রবিন হেনরির গল্প অবলম্বনে প্রযোজনা করেছিলেন এন. আর. পচিসিয়া। ছবির গান “মেরা দিল লে গয়ি ও কাম্মো কিধার” এবং ‘হম তুমসে না কুছ কেহ পায়ে’ দর্শকদের মুখে মুখে ফিরেছিল।
3
7
প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত ‘জিদ্দি’ বক্স অফিসে ৩২ কোটি টাকা আয় করে সুপারহিটের তকমা পায়। ১৯৯৭ সালের সর্বাধিক আয়ের ছবির তালিকায় জায়গা পায় পঞ্চম স্থানে
4
7
তবে এই ছবির শুটিংয়ের নেপথ্যের গল্পও কম রোমাঞ্চকর নয়। গুড্ডু ধানোয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'জিদ্দি'-র একটি গানের শুটিং চলছিল হায়দরাবাদে ‘মেরা দিল লে গয়ি ও কাম্মো কিধার’। সানি দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেন, কিন্তু নাচের ক্ষেত্রে একেবারে অনিচ্ছুক থাকেন। তিন দিন ধরে ও বলল, ‘তুমি আসো, আমরা একসঙ্গে শুটে যাব।’ গাড়িতে ওঠার পরও বলছিল, আজ এমন নাচব যে তুমি অবাক হয়ে যাবে। কিন্তু স্টুডিওয় পৌঁছে গাড়ি থেকে নামলই না! বলল, আজ নয়, কাল করব।”
5
7
পরিচালক গুড্ডুর সঙ্গে সানির সম্পর্কও ছিল একেবারে পারিবারিক। শৈশবে একসঙ্গে খেলা, এক ছাদের তলায় বেড়ে ওঠা। সম্পর্কে ধর্মেন্দ্র গুড্ডুর মামাতো দাদা, অর্থাৎ সেই হিসেবে সানি দেওলের কাকা হলেন গুড্ডু। যাই হোক, সেই বন্ধুত্ব থেকেই শুরু হয়েছিল কাজের সম্পর্কের গল্প।
6
7
সবচেয়ে মজার অংশটা ঘটেছিল শ্যুটিংয়ের আগের রাতেই! গুড্ডু ধানোয়া হঠাৎ প্রযোজক বাবলু পচিসিয়াকে বললেন, গল্পটা নতুন করে লিখতে হবে। রবিন হেনরির লেখা মূল গল্পটি তাঁরা বসে রাতভর পাল্টে ফেললেন। বিমানবন্দরের এক কফিশপে বসেই নতুন করে লিখে ফেললেন পুরো চিত্রনাট্য ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য।
7
7
ছবির সাফল্যের রহস্য নিয়ে গুড্ডুর কথায়, “ভাল গল্প, শক্তিশালী চিত্রনাট্য, সানির অ্যাকশন আর আবেগ—এই চারটি ব্যাপার ছবিটাকে ক্লাসিক বানিয়েছে। দর্শক সানিকে ভালবাসে কারণ সে চরিত্রটা বাঁচিয়ে তোলে পর্দায়। ওর চোখের ভাষাই যথেষ্ট।”