নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই বংশ বিস্তার করে মানুষ। শুধু মানুষ বললে হয়তো ভুল হবে। একই কাজ করে গোটা অন্যান্য প্রাণীও। আর সেই পদ্ধতি প্রাণী ভেদে ভিন্ন।
2
9
মৌমাছিদের উপকারী পতঙ্গ বলে মনে করা হয়। জানেন কি চোখের সামনে থাকা এই ছোট্ট প্রাণীটির মিলন এবং বংশ বিস্তারের প্রক্রিয়াটি কত বিচিত্র?
3
9
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন বংশবিস্তারের দায়িত্ব থাকে রানি মৌমাছির উপর। উড়ন্ত অবস্থাতেই একাধিক পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলিত হয় রানি, সংগ্রহ করে শুক্রাণু।
4
9
এই শুক্রাণু সংগ্রহের বিষয়টিও বেশ বিচিত্র। একবার উড়লে প্রায় ৭ কোটি শুক্রাণু দেহে ভরে নিতে পারে রানি মৌমাছি। এই পরিমাণ যতক্ষণ না পর্যন্ত পূর্ণ হয় ততক্ষণ উড়তে উড়তেই পুরুষ মৌমাছিদের সঙ্গে মিলিত হয় রানি।
5
9
একবার উড়লে অন্তত ১০ থেকে ২০ টি পুরুষের সঙ্গে মিলিত হয় রানি। একবার উড়লে সর্বোচ্চ ৫০ টি পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলিত হতে পারে একটি রানি মৌমাছি।
6
9
মিলনের ফলে যে শুক্রাণু পাওয়া যায় সেই শুক্রাণু রানি মৌমাছির দেহে স্পার্মাথেকা নামের একটি বিশেষ অঙ্গে জমা থাকে। এই অঙ্গে বছরের পর বছর তাজা থাকে শুক্রাণু।
7
9
একবার সংগ্রহ করা শুক্রাণু দিয়েই সারা জীবন ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে পারে রানি মৌমাছি। তবে মিলনের পর মারা যায় পুরুষগুলি।
8
9
কিন্তু এতগুলি পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলনের প্রয়োজন কী? গবেষকরা জানাচ্ছেন, একাধিক পুরুষের শুক্রাণু গ্রহণ করার ফলে মৌচাকের জিনগত বৈচিত্র বজায় থাকে। আর জিনগত বৈচিত্র থাকলে রোগের প্রাদূর্ভাব কম ঘটে।
9
9
পাশাপাশি, রানি মৌমাছিই মৌচাকের প্রাণ। গোটা জীবনকালে হাতে গোনা কয়েকবার সঙ্গমের জন্য উড়তে হয় রানিকে। তাতেই শুক্রাণুর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে রানিকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় না।