বেশ কিছুদিন ধরেই সমাজমাধ্যমে চর্চায় রয়েছে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা। ক্রিকেটার যজুবেণ্দ্র চাহল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে যে বিষয়টি নেটিজেনদের নজর কেড়েছে সেটি হল বিচ্ছেদকামী মহিলাদের দাবি করা অ্যালিমনি বা খোরপোশের পরিমাণ। কিন্তু জানেন কি, বিবাহবিচ্ছেদের সময় স্ত্রী কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে খোরপোশ দাবি করতে পারেন না?
2
10
পরকীয়া সম্পর্ক: যদি স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং এটি প্রমাণিত হয়, তবে খোরপোশ দাবি করা কঠিন হয় স্ত্রীর পক্ষে।
3
10
স্বেচ্ছায় বিবাহবিচ্ছেদ: যদি স্ত্রী স্বেচ্ছায় বিবাহবিচ্ছেদ চান এবং তার কোনও যুক্তিসংগত কারণ না থাকে, তবে আদালত খোরপোশ মঞ্জুর না-ও করতে পারে।
4
10
আর্থিক সক্ষমতা: যদি স্ত্রীর নিজস্ব যথেষ্ট আয় থাকে এবং তিনি নিজের ভরণপোষণে সক্ষম হন, তবে আদালত খোরপোশের দাবি খারিজ করতে পারে।
5
10
মিথ্যা অভিযোগ: যদি স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তবে খোরপোশ নাও পেতে পারেন।
6
10
পারস্পরিক সমঝোতা: যদি স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ করেন এবং খোরপোশ না নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হন, তবে স্ত্রী পরে খোরপোশ দাবি করতে পারবেন না।
7
10
পুনর্বিবাহ: বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রী যদি পুনরায় বিবাহ করেন, তবে তিনি আর খোরপোশ দাবি করতে পারেন না।
8
10
দীর্ঘদিন আলাদা থাকা: যদি স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আলাদা থাকেন এবং স্ত্রীর কোনও আর্থিক প্রয়োজন না থাকে, তবে আদালত খোরপোশ না-ও দিতে পারে।
9
10
স্বামীর অক্ষমতা: যদি স্বামী গুরুতর অসুস্থ হন বা কোনও কারণে উপার্জন করতে অক্ষম হন, তবে আদালত স্ত্রীর খোরপোশের দাবি বিবেচনা করতে পারে।
10
10
তবে মনে রাখা দরকার, প্রতিটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আলাদা এবং আদালতের সিদ্ধান্ত মামলার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তাই, যে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একজন আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।