কালীপুজোর দিন তিনেক আগেই কলকাতা ও শহরতলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব দেখা গিয়েছে। সকাল থেকে রাত অবধি বাজির শব্দে ঝালাপালা কান। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও ডেসিবেল সীমা উপেক্ষা করে যত্রতত্র বাজি ফাটানো হচ্ছে। শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থরা।
2
5
তীব্র শব্দ কানের শ্রবণযন্ত্র ও হার্টের কার্যক্ষমতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকদের মতে, হৃদ্রোগী, হাঁপানি বা সিওপিডি রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে বিপজ্জনক। অতিরিক্ত শব্দে অ্যাংজ়াইটি অ্যাটাক, মাইগ্রেন, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। দরজা-জানলা বন্ধ রাখলেও শব্দ পুরোপুরি আটকানো যায় না।
3
5
চিকিৎসক প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, তীব্র শব্দে ককলিয়া ও ভেস্টিবুলার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ককলিয়ার সূক্ষ্ম কোষ নষ্ট হলে তা পুনর্গঠন সম্ভব নয়, ফলে স্থায়ী বধিরতা হতে পারে। মাথা ঘোরা, ভার্টিগো বা ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে থাকা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
4
5
শব্দবাজির ভয়াবহ আওয়াজে শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ও প্যানিক ডিজ়অর্ডার দেখা দিতে পারে। খিদে কমে যাওয়া, অস্থিরতা ও ঘুমের সমস্যা সাধারণ। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই শব্দ রক্তচাপ বৃদ্ধি ও মানসিক উত্তেজনার কারণ হয়। এমনকি গর্ভস্থ ভ্রূণের বিকাশেও প্রভাব ফেলতে পারে।
5
5
শব্দবাজি না ফাটানোই একমাত্র কার্যকর উপায়। সরু গলি বা আবাসিক এলাকায় বাজি ফাটানো বিপজ্জনক, কারণ শব্দতরঙ্গ দেয়ালে প্রতিফলিত হয়ে আরও তীব্র হয়। দরজা-জানলা বন্ধ রাখা ও ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার উপকারী হতে পারে। কানে ভোঁ-ভোঁ বা কম শোনার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।