নিজস্ব সংবাদদাতা: বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তম মোহান্তি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবর শোনা যায়। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। ১৯৭৭ সালে সিনেদুনিয়ায় পথচলা শুরু হয় তাঁর। কয়েক দশকের কেরিয়ারে ওড়িয়ার পাশাপাশি বাংলা ছবিতে নজর কাড়েন। এছাড়াও ৩০টি বাংলা ছবি করেছেন তিনি। তাঁর ছবির নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও শোকাহত অভিনেতার প্রয়াণে।
আজকাল ডট ইনকে ঋতুপর্ণা বলেন, "ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির 'মহানায়ক' ছিলেন উত্তম মোহান্তি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল কেরিয়ারের শুরুতে ওঁর মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার। এত সুপুরুষ ছিলেন, দেখলেই মন ভাল হয়ে যেত। আমার বাবার সঙ্গেও খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। কলকাতায় এলে একসঙ্গে আড্ডা হত। যতবার ওড়িশা যেতাম, উত্তমদার খোঁজ করতাম। কিছুদিন আগেও অসুস্থতার খবর পেয়ে খোঁজ নিয়েছিলাম।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "উত্তমদা যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। ওড়িশা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ওঁর অবদান অনেক। উত্তমদার ছেলে বাবুসান ওঁর যোগ্য উত্তরসূরি। খুব প্রিয় মানুষ ছিলেন উত্তমদা। বিনোদন জগৎ সত্যিই আরও একজন 'মহানায়ক'কে হারালেন।"
জানা যাচ্ছে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন অভিনেতা। প্রথমে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে এয়ারলিফটে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতার অকাল প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের ঘোষণা করেছেন।
