স্টার জলসায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী'। বাংলা টকিজের প্রযোজনায় এই ধারাবাহিকটি শুরুতেই দর্শকের মন জয় করেছে। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রাজনন্দিনী পাল। ছবি, সিরিজে পরিচিত মুখ হলেও এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেক হল রাজনন্দিনীর। 

 

 

 

রাণী ভবানীর স্বামী রাজা রামকান্তর চরিত্রে অভিনয় করছেন সায়ন বসু। এই ধারাবাহিকের সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস। টিআরপি-র লড়াই মুখের কথা নয়। খেলা ঘুরতে সময় লাগে মাত্র এক সপ্তাহ। পুরনো সমস্ত মেগাকে ছাপিয়ে গেল স্টার জলসার 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী'! খুব বেশিদিন শুরু হয়নি এই ধারাবাহিক। তবুও আধ্যাত্মিক ও পৌরাণিক কাহিনি যে বরাবরই দর্শকের মন জয় করে তা আরও একবার প্রমাণ করল এই মেগা। গত সপ্তাহে এক নম্বরে নিজের জায়গা দখল করল 'ভবানী'। পেয়েছে ৭.১ নম্বর। 

 

আরও পড়ুন: বড়পর্দায় জুটিতে 'সূর্য-জ্যাস'! রাণা সরকারের হাত ধরে কবে আসছে দিব্যজ্যোতি-অঙ্কিতার নতুন ছবি?

 

গল্পে রাণী ভবাণীর জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠা, বিয়ে, তারাপীঠের মন্দিরের সঙ্গে যোগ আর শেষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রার পুরো কাহিনির কোলাজ তুলে ধরা হবে। রাণী ভবানীর নানা বয়সের লুকে দেখা যেতে চলেছে রাজনন্দিনীকে। কখনও লাল ফিতে দিয়ে কলা বিনুনি বাঁধা গ্রামের সাদামাটা মেয়ে কিন্তু তার হাতে লাঠি, সকলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাঠি খেলছে। আবার কখনও একেবারে নতুন কনের বেশে ভারী গয়না আর লাল টুকটুকে বেনারসী পরে পালকি করে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে আবার কখনও রাজবাড়ির বউরাণী হয়ে ক্ষুধার্তদের মুখে তুলে দিচ্ছে খাবার। এমনকী তাঁকে রণরঙ্গিনীর সাজে তরোয়াল হাতে যুদ্ধযাত্রা করতে দেখা গিয়েছে। 

 

 

এখন ধারাবাহিকের গল্প এগোচ্ছে ভবাণী ও রামকান্তর বিয়েকে কেন্দ্র করে। তাদের জুটির রাজ বিবাহ পর্ব দেখে দারুণ উত্তেজিত দর্শক মহল।‌ কিন্তু গল্পের মোড়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে এসেই নাকি বিপাকে পড়বে ভবানী। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার জন্য তৈরি রাজ পরিবারের কিছু সদস্য। নাটোরের রাজাকে বিয়ে করে কি রাজরানীর সম্মান পাবে সে? পরিবারের সবার মন‌ জয় করতে পারবে ভবানী? এই প্রশ্ন এখন সিরিয়ালপ্রেমীদের মনে।

 

 

 

 

এর মাঝেই এক অন্য বিপাকে পড়ল ভবানী। ঝুলনের দিন রাধাগোবিন্দের পুজোর আয়োজন করে নাটোরবাসী। পুজো দিতে এসে এক কঠিন সত্যির মুখোমুখি হয় ভবানী। সামনে দেখে পুঁটিকে। ভগবানের আরাধনা থামিয়ে সে তাকে জিজ্ঞাসা করে, সেই তো রাজার ছোটবেলার সখী? এর জবাব দিতে পারে না পুঁটি। চোখে জল চলে আসে তার। ভবানী বুঝতে পারে যে, নাটোরের বউরাণী হলেও রাজার মনজুড়ে এখনও রয়েছে পুঁটিই। 

 

 

 

এর মধ্যেই ইংরেজ শাসকের দলের নজর পড়ে পুঁটির উপর। তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তারা। এই অন্যায় চোখ এড়ায় না ভবানীর। ভগবানের আশীর্বাদ নিয়ে সে ছুটে যায় প্রতিবাদ করতে। তরোয়াল ধরে ইংরেজদের গলায়। ভবানী প্রতিজ্ঞা করে, যতদিন সে রাজরানী থাকবে, ততদিন নাটোরের কোনও প্রজার অসম্মান সে হতে দেবে না। এতদিন ভবানীর এই প্রতিবাদী রূপ চোখে পড়েনি রামকান্তর। এবার স্ত্রীকে এই রূপে দেখে তার চোখমুখে ফুটে উঠল মুগ্ধতা। কেমন হবে ভবানীর আগামী দিনের পথ চলা? উত্তরের অপেক্ষায় দর্শক মহল।