'ফুলকি'র রমরমা বরাবরই চোখে পড়ার মতোই। টিআরপিতে চমক দিতে ভোলে না এই ধারাবাহিক। প্রতি সপ্তাহেই রেটিং চার্টে এক থেকে পাঁচের মধ্যে জায়গা করে নেয় এই মেগা। এখন আর ফুলকি-রোহিতের গল্প নয়। ফুলকির একার লড়াইয়ের গল্প বলছে এই মেগা। তবে ফুলকির লড়াইয়ের পাশে আছে অরণ্য। দেখতে সে রোহিতের মতো হলেও স্বভাবে একেবারে আলাদা। 

 


গল্পে রোহিত মারা গিয়েছে। তারপরেই পরিবারের নতুন সদস্য হয়ে উঠেছে অরণ্য। এদিকে, অরণ্য ধীরে ধীরে ফুলকিকে ভালবেসে ফেলেছে। ফুলকি প্রথমদিকে অরণ্যকে এড়িয়ে চললেও এখন একটু একটু করে মন গলছে তার। এর মধ্যেই গল্পে এসেছে নতুন টুইস্ট। মা হতে চলেছে ফুলকি। রোহিত মারা গেলেও রোহিতের সন্তানেরই মা হতে চলেছে সে। 

 


তাই পরিবারে এসেছে খুশির জোয়ার। ফুলকিকে এখন আগলে রাখছে বাড়ির সবাই। রাজনীতির ময়দান থেকে পরিবার সব দিকে নজর তার। এর মধ্যেই রুদ্রর নতুন চক্রান্ত শুরু হচ্ছে। 


এদিকে, রোহিতের থেকে স্বভাবে একেবারেই আলাদা নতুন এই অরণ্য। যদিও অল্প দিনেই বাড়ির সবার পছন্দের হয়ে উঠেছে সে। কিন্তু ফুলকির মন কিছুতেই জয় করতে পারছে না সে। তাকে দেখলেই বিরক্ত হয় ফুলকি। এদিকে, সে জানায় রোহিতের আসল খুনিকে খুঁজে বের করতে ফুলকিকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু ফুলকি কিছুতেই রাজি হয় না। কিন্তু সে-ও নাছোরবান্দা। ফুলকির মন জয় করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। এবার কি গল্পে শুরু হবে নতুন অধ্যায়? রোহিতকে ভুলে নতুন জীবন শুরু করবে ফুলকি? এসব প্রশ্নের মাঝেই সামনে এল গল্পের নতুন টুইস্ট। 

 

 

'ফুলকি'র পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস আজকাল ডট ইন-কে বলেন, "এখন ফুলকি অন্তঃসত্ত্বা। তার খেয়াল রাখার জন্য বাড়ির সবাই উঠেপড়ে লেগেছে। আর ক'দিনের মধ্যেই ধারাবাহিকে আসবে ছোট্ট সদস্য। এদিকে, রোহিত তো নেই, অরণ্য আছে। অরণ্যকে আগামী দিনে ফুলকির হাত ধরতে দেখা যাবে। গল্পের মোড়ে দু'জন‌ একসঙ্গে শিশুটির দায়িত্ব নিতেও দেখা যেতে পারে। এখনই সবটা বলছি না, তবে শিশুটি এলে একটা চমক আসবেই গল্পে সেটা অনিবার্য।"

 

 

প্রসঙ্গত, এর আগে রোহিতকে সে কিডন্যাপ করে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল রুদ্র। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও করে ফেলেছিল রুদ্র। রোহিতকে একটা ঘরে বন্দি করে রেখেছিল সে।‌ বন্দুক তাক করেছিল তার দিকে। রোহিত কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুদ্র তাকে গুলি করেছিল। রোহিতের বুকে এসে লেগেছিল সেই গুলি। 

 

 

ফুলকি খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। কিন্তু রুদ্র সেবারও ফুলকির চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে এসে ফুলকি ও রোহিতের পরিবারের লোকজন জানতে পেরেছিল রোহিতের ব্রেন ডেথ হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। চিকিৎসকের মুখে এই কথা শোনা মাত্র ফুলকি রোহিতের জন্য হার্ট ডোনার খুঁজতে গিয়েছিল। অবশেষে পাওয়াও গিয়েছিল।

 


চিকিৎসককে ফুলকি অনুরোধ করেছিল যে, রোহিতকে যে হার্ট দান করছে তাকে একবার সে দেখতে চায়। চিকিৎসক রাজি হলে হাসপাতালের একটি ঘরের সামনে আনা হয় ফুলকিকে। দরজার ফাঁক দিয়ে সে দেখতে পায় একটি মধ্যবয়সী পুরুষ শুয়ে আছে বিছানায়। মুখের দিকে নজর পড়তেই চমকে উঠেছিল ফুলকি। এ তো অবিকল রোহিত! 

 

ভয়ে সবটা গুলিয়ে গিয়েছিল তার।‌ রোহিতের যদি ব্রেন‌ ডেথ হয়, তাহলে হার্ট ডোনার কে? দু'জন আলাদা মানুষকে অবিকল এক দেখতে হয় কীভাবে? তাহলে কি রোহিতের যমজ ভাই আছে? কিন্তু এতদিন তার পরিচয় কেন গোপন করে রাখবে পুরো পরিবার? আসলে এসব পুরোটাই রুদ্রর চক্রান্ত ছিল। রোহিতকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলেছিল সে। এবার ফুলকির সন্তান আসার আগে কি আবারও কোনও ক্ষতি করবে রুদ্র? নাকি অরণ্য আর ফুলকি এবার রুদ্রকে উচিত শিক্ষা দিতে পারবে? তা জানার জন্য অপেক্ষা দর্শক।