'চিরসখা'য় প্লুটোর মৃত্যু যেন মানতে পারছেন না দর্শক। হঠাৎই বিয়ের দিন তার আত্মহত্যা যেন বিঁধছে দর্শকের মনে। মুখ ফুটে নিজের মনের কথা বলতে পারেনি প্লুটো। সমাজমাধ্যমে বারবার উঠে এসেছে প্লুটোর মৃত্যু নিয়ে নানা তথ্য। কিন্তু এখনও দর্শকদের মনে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন এই মৃত্যু ছাড়া কি গল্প এগোতে পারত না? কেন এমন গল্প সাজালেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়?
দর্শকের এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন 'চিরসখা' টিম। প্লুটোর মৃত্যু যেন বাবা-মায়েদের মনে নাড়া দিয়ে গেল। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কি তবে বাবা-মায়েদের সচেতন করতেই এই কাহিনি লিখলেন? মা হিসেবে অনন্যার কি উচিৎ ছিল না ছেলেকে আরেকটু বোঝার?
এসব প্রশ্নের মাঝেই ধারাবাহিকে এল নতুন মোড়। কমলিনীকে আবারও ভুল বুঝল মিঠি। কমলিনী তার ফটোগ্রাফির জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পুরষ্কার পায়। পুরস্কার পেয়ে বাড়িতে খুশি মনে ঢোকে সে। তার সঙ্গে নতুনও আসে। বাড়িতে ঢুকে কমলিনী বলে মিঠি খুব খুশি হবে এই খবরটা জানতে পেরে। তড়িঘড়ি সে মিঠির কাছে আসে। নতুন তাকে কমলিনীর পুরস্কারের কথা জানায়। কিন্তু খুশি হওয়ার বদলে আরও মলিন হয়ে যায় মিঠির মুখ।
কমলিনী তাকে জানায়, এই পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে সে কী কিনবে? কিছু নেবে কিনা? তখন মিঠি চটে লাল হয়ে যায়। মিঠি কমলিনীকে বলে সে খুব সার্থপর তাই অন্যের জন্য কিছু ভাবার আগে সে নিজের জন্য ভাবে। সত্যিই যদি অন্যের জন্য কিছু ভাবতে পারত, তাহলে মিঠিকে এই দিন দেখতেই হত না। মিঠির কথায় সুযোগ বুঝে তাল মেলায় বর্ষা। সে বলে, ছেলেমেয়ের জন্য কিছুই ভাবে না সে। অন্যদিকে, বুবলাইও বর্ষাকেই সমর্থন করে। মিঠির কথা শুনে নতুন তাকে ধমক দেয়। কিন্তু মিঠি জানায়, সে যেন তাদের মা-মেয়ের মধ্যে না ঢোকে। হঠাৎ কী কারণে মিঠি কমলিনীর বিরুদ্ধে চলে গেল?
এতদিন কেউ কমলিনীকে না বুঝলেও মিঠি মাকে বুঝত। সে কোনওদিন মায়ের বিরুদ্ধে যায়নি। কিন্তু হঠাৎ কেন মায়ের বিরুদ্ধে চলে গেল সে? কী কারণে মাকে ভুল বুঝছে সে? তবে কি প্লুটোর মৃত্যুই তাকে বদলে দিল? ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো আসার পরেই এখন এই প্রশ্ন ঘুরছে দর্শকের মনে। কী হতে চলেছে আগামী পর্বে? এখন সেই অপেক্ষায় সিরিয়ালপ্রেমীরা।
প্রসঙ্গত, প্লুটোর মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় সমাজমাধ্যম। 'প্লুটো'র চরিত্রে দর্শক দেখেছেন অভিনেতা পার্থ বেরাকে। এতদিন প্লুটো ও মিঠির প্রেম নিয়ে তেমন চর্চা না হলেও তাদের অসমাপ্ত প্রেম নিয়ে এখন কথা উঠছে। অনেক নেটিজেন ভেবেছিলেন হয়তো গল্পের টুইস্টে প্লুটোকে আবারও বাঁচিয়ে তুলবেন লীনা। তবে প্লুটোর শেষযাত্রার সঙ্গী হয়ে রয়ে গেলেন সিরিয়ালপ্রেমীরা।
এক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য প্লুটোর মৃত্যুতে বেশ খানিকটা টিআরপি বেড়েছে 'চিরসখা'র। হঠাৎ এমন একটা প্লট যে গল্পে আসতে পারে তা যেন ভাবতেই পারেননি দর্শক। তাই জনপ্রিয়তা অনেক গুণ বেড়েছে পার্থর। এই ধারাবাহিকের গল্পে এতদিন মিঠি ও মৌ-এর চরিত্রকে যেমনভাবে দেখেছেন দর্শক। এই মোড়ের পর যেন সব হিসেবে বদলে গিয়েছে দর্শকের। তবে প্লুটোর মতো এরকম অনেক মুখচোরা মানুষ আছেন, যাঁরা অন্যের সিদ্ধান্তে চলতে বাধ্য হন। কেউ মেনে নেন নিজের ভবিতব্য, কেউ আবার এই দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে ফেলেন। কিন্তু 'চিরসখা' দর্শকের চোখে আঙুল দিয়ে ঠিক কী দেখাতে চাইল? কেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা ফুটে উঠল? তা জানার অপেক্ষায় দর্শক মহল।
