সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডে এক সময়ের বহু প্রতীক্ষিত প্রজেক্ট ছিল ‘দ্য বুল’। সালমান খানের সঙ্গে ধর্মা প্রোডাকশনসের রিইউনিয়ন, বিশাল বাজেটের আর্মি-অ্যাকশন থ্রিলার। এই ছবি প্রধানত বলত ভারত-মালদ্বীপ সীমান্ত উত্তেজনার পটভূমিতে গড়ে ওঠা এক সেনানায়কের গল্প। সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র দুই অফিসারের সম্পর্ক, যুদ্ধ, আত্মত্যাগ, এবং প্রচুর অ্যাকশনে ঠাসা! সব মিলিয়ে ফ্যানদের উত্তেজনার কমতি ছিল না। ২০২৩ সালে ছবির মহর সেরে ফেলেছিল ছবির টিম, স্ক্রিপ্ট রেডি, লুক টেস্ট, লোকেশন— সব কিছু! কিন্তু ঠিক শুটিংয়ের আগে ছবি গেল থেমে!

 


‘কেন দ্য বুল’ চার্জ দেওয়ার আগেই থেমে গেল? সম্প্রতি, শোনা গেল সলমন খান বনাম করণ জোহরের কাস্টিং দ্বন্দ্ব-ই এর মূল কারণ! এই ছবি ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে , সলমন খান ছবিতে যেরকম বাণিজ্যিক মশলা মেশানো থাকে ছিল। কিন্তু কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন সলমন, যেগুলোই ‘দ্য বুল’–এর গতি রোধ করল।” সেই সূত্র আরও জানিয়েছে, সলমন চেয়েছিলেন এই ছবির মাধ্যমেই তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী শেরা-র ছেলে আবির ওরফে টাইগার-কে বড় পর্দায় লঞ্চ করতে। এই চরিত্রটা ছিল একজন গুরুত্বপূর্ণ জুনিয়র অফিসারের— যার জন্য করণ জোহর এবং পরিচালক বিষ্ণুবর্ধন চাইছিলেন একজন পরিণত অভিনেতাকে, সম্ভবত সিদ্ধার্থ মালহোত্রা-কে। যার ‘শেরশাহ’–এ অভিনয়ের পর থেকে এই ঘরানার চরিত্রে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।

 

সলমন অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও করণ-বিষ্ণু জুটি নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ২৫০ কোটি টাকার বাজেটের (সলমনের পারিশ্রমিক বাদে)—এত বড় মাপের ছবিতে তাঁরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি।

 

এরপর নাকি ছবির প্রযোজকরা বুঝতে পারেন, ভুল কাস্টিং হলে গোটা ছবির মান-টাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তাঁরা প্রজেক্টটিকে আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ভবিষ্যতে ফের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন ঠিকই, কিন্তু ‘দ্য বুল’-এর এখন আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই।

 

সাম্প্রতিক বক্স অফিস পারফরম্যান্সে ‘সিকান্দার’ও বিশেষ কিছু করতে পারেনি। এর মধ্যে ‘দ্য বুল’ বন্ধ হওয়ায় সালমানের আগামী কেরিয়ার রোডম্যাপ ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে ধর্মা প্রোডাকশন ও সলমন খান ফিল্মস— কেউই এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।

 

তবে একটা জিনিস স্পষ্ট— বলিউডে ছবি শুধু গল্পে চলে না, পেছনে চলে নায়ক বনাম নির্মাতার মাইক্রো-পলিটিক্স, আর ঠিক সেখানেই নষ্ট হল ‘দ্য বুল’- এর স্বপ্ন।