সংবাদসংস্থা মুম্বই: বছর পাঁচেক প্রেমের পর অবশেষে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আলিয়া ভাটের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রণবীর কাপুর। এরপরে তারকা দম্পতির কোল আলো করে আসে তাঁদের মেয়ে রাহা। এখন পরিপূর্ণ সংসার রণবীর-আলিয়ার। 

 

কিন্তু এতবছর পরেও আজও রণবীরের নাম শুনলে লাজুক হাসি ধরা পড়ে আলিয়ার মুখে। সম্প্রতি, এই বিষয়ে মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেন, "যখন আমাদের প্রেম প্রকাশ্যে আসেনি, তখন আমার নাম শুনলেই আলিয়ার চোখেমুখে লজ্জার ছাপ দেখা যেত। আজও আমার নাম শুনলে একইভাবে লাজুক হাসি ধরা পড়ে ওর মুখে। আমি প্রতিদিন চাই যেন এরকমই থাকে আমাদের সম্পর্ক। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেন আলিয়ার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে আমার নাম শুনলেই।"

 

 

প্রসঙ্গত, আর কিছুদিনের মধ্যেই ছোট্ট রাহাকে নিয়ে নিজেদের নতুন বাড়িতে প্রবেশ করবেন রণবীর-আলিয়া। মুম্বই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে দিওয়ালির আগেই তাঁরা চলে যাবেন নতুন বাড়িতে। সেখানেই করবেন দীপাবলি উদযাপন। 

 

এখন প্রতিদিন নিয়ম করে নতুন বাড়ি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন দম্পতি। নতুন বাড়ির দেখভাল করতে বাবা,মার সঙ্গে দেখা যায় রাহাকেও।শুধু আলিয়া বা রণবীর নন, এই বাংলোর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন নীতু কাপুরও। 

 

রণবীরের ঠাকুমার নামানুসারে এই বাংলোর নামকরণ করা হয়েছে 'কৃষ্ণ রাজ'। যে কারণে এটি কাপুর পরিবারের কাছে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি আসলে রণবীরের ঠাকুরদা ও ঠাকুমা রাজ কাপুর এবং কৃষ্ণা রাজের ছিল। এটি ১৯৮০ সালে প্রয়াত ঋষি কাপুর এবং নীতু কাপুর উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। এই বাড়িতেই ছিল তাঁদের সংসার। ২০১৬ সালে ঋষি এবং নীতু বাড়িটি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেন। আর এখন এই বাংলোকে নিজের মতো করে গড়ে তুলছেন রণবীর-আলিয়া। মেয়ে রাহাকে দীপাবলির উপহার দিতে এই বাংলোকে স্বপ্নপুরীর মতো গড়ে তুলছেন তারকা দম্পতি।