Payal Rohatgis shocking reaction to Alia Bhatts statement about privacy invasion irks netizens | Aajkaal
‘আপনার স্বামী বা অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক…’! গোপনীয়তা লঙ্ঘন নিয়ে আলিয়াকে ‘নোংরা’ খোঁচা, নেপথ্যে কে
নিজস্ব সংবাদদাতা
২৭ আগস্ট ২০২৫ ১৫ : ২৫
শেয়ার করুন
আলিয়া ভাটকে খোঁচা পায়েল রোহাতগির। গোপনীয়তা লঙ্ঘন কী এবং কাকে বলে, তা নিয়ে বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাকে পাঠ পড়াতে চাইলেন একদা ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী।
মঙ্গলবার আলিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি শেয়ার করেন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের প্রসঙ্গে। ভদ্র কিন্তু দৃঢ় ভাষায় লেখা এই নোটটির পিছনে কারণ ছিল একটি ভিডিও, যেখানে আলিয়া ও রণবীর কাপুরের ২৫০ কোটি টাকার আবাস—পালি হিলের ছ’তলা বাংলো—দেখানো হয়েছে, যা দ্রুতই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। আলিয়া উল্লেখ করেন, এই ভিডিওটি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা একটি গুরুতর নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি একে সরাসরি গোপনীয়তা লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে, গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন যেন এই ধরনের ভিডিও এবং ছবি মুছে ফেলা হয়। একই সঙ্গে তিনি ভক্তদেরও আবেদন করেন এগুলো যেন আর কেউ শেয়ার বা ফরোয়ার্ড না করেন।
এই ঘটনার পর নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র হয়—কেউ আলিয়ার সমর্থনে এগিয়ে আসেন, আবার কেউ তাঁকে ট্রোল করেন। তবে অভিনেত্রী এবং বিগ বস প্রতিযোগী পায়েল রোহাতগীর প্রতিক্রিয়া নেটদুনিয়াকে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত করেছে।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Alia Bhatt ???? (@aliaabhatt)
আলিয়ার পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করে পায়েল লিখেছেন, ‘এটা কোনও ভাবেই গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে না। আপনার স্বামী বা অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মুহূর্ত ফাঁস হলে তা গোপনীয়তা লঙ্ঘন হিসাবে গণ্য হয়।” এখানেই শেষ নয়, বিগ বস ২-র প্রতিযোগী আরও লিখেছেন, ‘আপনার বাড়ির লোকেশন শেয়ার করাকে গোপনীয়তা লঙ্ঘন বলা যায় না। আশা করি আপনার ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞান আছে। ইনফ্লুয়েন্সাররা রাস্তায় ভিডিও বানায়, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাড়িঘরও দেখা যায়। আপনার সাধ্য আছে, তাই বাড়তি সিকিউরিটি আর ক্যামেরা বসান। কিন্তু দয়া করে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন। এটা কোনও ইতিহাস নয়, শুধুই সাধারণ বুদ্ধি।’ পায়েলের এই মন্তব্যে নেটিজেনদের একাংশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
রেডিটে পায়েলের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি ঘিরে করা একটি পোস্টে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আলিয়ার যৌন জীবন নিয়ে ওঁর এত আগ্রহ? এটা আসলে বিকৃত মানসিকতা, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির অভিযোগে ওকে গ্রেপ্তারও করা যেতে পারে। বিগ বস প্রতিযোগীদের বাধ্যতামূলকভাবে অন্তত ৩০ দিনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা উচিত, তারপরই তাঁদের জনসমক্ষে আসা উচিত।’
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আজকাল মানুষ প্রাসঙ্গিত থাকতে যা ইচ্ছা বলে দেয়। ওঁর মনে সত্যিই খুব ঘৃণা।’
এক নেটিজেন দাবি করেছেন, ‘আমার মনে হয় উনি শুধু চান, মানুষ ওঁর কথা বলুক বা ওঁকে মনে করুক, কারণ আসলে কেউই আর ওঁর কথা ভাবে না।’
আরেকটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, ‘এই মহিলার আসলে শুধু নাম কামানোর খিদে, এমনকি সেটা যদি অন্যকে আক্রমণ করার মাধ্যমেও হয়। লকডাউনের সময় উনি বারবার করিনা (কাপুর খান) আর তাঁর ছেলেকে টার্গেট করে ভিডিও বানাতেন, কিন্তু কেউ পাত্তাই দেয়নি। এখনও ওঁকে সেভাবেই উপেক্ষা করা উচিত।’