নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: কয়েক দিন আগে সন্ন্যাসের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি। যদিও এক সপ্তাহের মধ্যেই মহামণ্ডলেশ্বর পদ হারান তিনি। তারপর থেকে বিভিন্ন কারণে শিরোনামে উঠে আসছেন নয়ের দশকের সাড়া জাগানো বলি-অভিনেত্রী। এবার শাহরুখ খান ও সলমন খানের সঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
প্রায় ১৪ বছরের কেরিয়ারে বলিউডে এক ঝাঁক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। তার মধ্যে অন্যতম ‘করণ অর্জুন’। ১৯৯৫ সালের সেই ছবিতে সলমন খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, "করণ অর্জুনের কোরিওগ্রাফার ছিলেন চিন্নি প্রকাশ। একদিন শাহরুখ আর সলমন দু’জনেই শুটিংয়ে গিয়েছিলেন। আর আমি একা হোটেলে বসেছিলাম। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর, চিন্নি প্রকাশের অ্যাসিসট্যান্ট এসে আমার দরজায় কড়া নাড়েন। আমি জিজ্ঞাসা করি, কী হয়েছে? তিনি জানান, মাস্টারজি আমাকে ডাকছেন।"
এখানেই শেষ নয়। অভিনেত্রী জানান, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়, সলমন এবং শাহরুখ দু’জনেই তাঁকে পাশ কাটিয়ে চলে যান এবং হাসতে শুরু করেন। কিন্তু দুই নায়ক কেন এমন ব্যবহার করেছিলেন? ঘটনার ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, ‘তখন রাত প্রায় ৮টা। আমি মাস্টারজির কাছে যাই। আমায় বলা হয়, এই স্পেশাল স্টেপটি তুমি একাই করবে। আমি ভাবতে থাকি, কেন তিনি হঠাৎ এটা বলছেন? তারপরের দিন ছিল আমার প্রথম শট। আমি দেখলাম, শাহরুখ আর সলমন দু’জনেই ঝোঁপের আড়াল থেকে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। সঙ্গে মাস্টারজিও ছিলেন।’
পরদিন সকালে শুটিংয়ের সময় মমতা নাকি বুঝতে পারেন যে সলমন ও শাহরুখ কোরিওগ্রাফারকে বেশি জটিল নাচের স্টেপগুলি দেওয়ার জন্য রাজি করিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, "সেদিন আমার প্রথম শর্ট ছিল। আর প্রথম শটটিই ওকে হয়ে যায়। তখন দেখি শাহরুখ-সলমন দুজনকেই একটি ঝোপের আড়াল থেকে আমাকে দেখে হাসছে।"
এরপর শাহরুখ-সলমনের একসঙ্গে শর্ট ছিল। মমতা জানান, ‘ওঁদের ৫০০০ জনের সামনে হাঁটু মুড়ে শর্ট দিতে হয়েছিল। পরিচালক জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে চলে যেতে বললেন। এরপর আমরা সবাই নিজেদের ঘরে চলে যাই। ভেবেছিলাম, হয়তো ওঁরা আগের সন্ধ্যায় আমার সঙ্গে মজা করেছেন। তবে আমিও চাইনি যে, কোরিওগ্রাফারের দেওয়া নাচের শর্ত নিয়ে তাঁরা কোনও রকম সুযোগ পাক। তাই যখন তাঁরা ঘরের দিকে যান, আমিও ছুটে যাই। মাঝপথেই সলমন আমাকে থামিয়ে দেন। আর আমার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন।
