সংবাদ সংস্থা মুম্বই: “মেয়েকে ছাড়ব না... অভিশাপ হোক, আমি শেষ করব!” — ভয়ার্ত কণ্ঠে গর্জে উঠলেন কাজল। ‘মা’ সিনেমার ট্রেলারে এক ঝলকেই বোঝা গেল, এখানে তিনি শুধু মা নন—তিনি দেবী কালী, তিনি প্রতিশোধ, তিনি রক্ষা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল বিশাল ফুরিয়ার পরিচালনায় তৈরি ‘মা’-র রক্তমাখা, থ্রিলিং ট্রেলার। যাত্রা শুরু এক গা ছমছমে জঙ্গলের রাস্তায়, গাড়িতে মা আর মেয়ে। মেয়ের পিরিয়ডের ব্যথা, মায়ের আশ্বাস—“একটু থামব, ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু সেই ‘ঠিক’ আর আসে না... বরং আসে কাচ ভাঙা ভয়, আর এক অভিশপ্ত গ্রাম—চন্দনপুর।
চন্দনপুরে কেউ জানে না, কীভাবে একের পর এক কিশোরী হারিয়ে যাচ্ছে! রহস্য, রক্ত আর অন্ধকারে ঢাকা এক গাছ, যে গাছের শেকড়ে নাকি আটকে রয়েছে এক প্রাচীন অভিশাপ। রনিত রায় জানিয়ে দেন— “এই জায়গা মেয়েদের গিলে খায়।” চন্দনপুর—যেখানে একটা গাছ নাকি বহু বছর ধরে বহন করে চলেছে এক ভয়ংকর অভিশাপ। যেখানে মেয়েরা হারিয়ে যায়, আর কেউ কিছু বলতে পারে না। এক সময় রনিত রায় জানিয়ে দেন, “গত কয়েক মাসে এখানে একের পর এক মেয়ের খোঁজ মিলছে না। এ জায়গায় কিছু আছে... যা চাইছে রক্ত।”
কাজল বুঝতে পারেন, তাঁর মেয়েকে এই অভিশাপের বলি করা হতে পারে। তখনই তিনি হয়ে ওঠেন শক্তির রূপ— কালী। চোখের ক্রোধে যেন উগ্র প্রতিজ্ঞা ঝরে পড়ে—“এই জায়গা আমার মেয়েকে নিতে চাইছে? আমি তার অভিশাপই শেষ করে দেব!”
ট্রেলারে ভয়ের আবহ তৈরি করেছে কুঁচকে যাওয়া পাতায় ঢাকা গাছ, অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়া, আর একটার পর একটা অদৃশ্য ভয়। কাজলের অভিনয় এই ছবিতে যেন অনুভবের চেয়েও বেশি কিছু। মাতৃত্বের কোমলতা থেকে শত্রুতা—সব মিলিয়ে তার রূপ যেন ধাপে ধাপে এক অভিশপ্ত উপাখ্যানের বিস্ফোরণ।ট্রেলারে বারবার উঁকি দিচ্ছে কাজলের শক্তিশালী মাতৃত্ব, তার রূপান্তর—এক সময় স্নেহময়ী মা, পরক্ষণেই রক্তমাখা কালী। কাহিনিতে আছে ভয়, রাগ, লড়াই আর একজন মায়ের দুর্ধর্ষ প্রত্যয়।
অভিনয়ে রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, যতীন গুলাটি ও খেরিন শর্মাও। চিত্রনাট্য লিখেছেন সাইউইন কুয়াড্রাস, প্রযোজনায় অজয় দেবগণ ও জ্যোতি সুব্বরায়ণ।
