নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: সন্ন্যাসের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নয়ের দশকের সাড়া জাগানো বলি-অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। চলতি মহাকুম্ভে গিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। বদলে যায় তাঁর নামও। তাঁর নতুন নামকরণ হয় নন্দগিরি। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে মহামণ্ডলেশ্বর পদ হারালেন মমতা। তাঁকে কিন্নড় আখড়া থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস।
মমতা কুলকার্নির সঙ্গে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যার কারণ হিসাবে ঋষি অজয় দাসের দাবি, নীতিবিরুদ্ধভাবে মহামণ্ডলেশ্বর পদ পেয়েছেন মমতা। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারবারে জড়িত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে যাঁর বিরুদ্ধে এমন 'গুরুতর' অভিযোগ রয়েছে তাঁকে হঠাৎ ‘সন্ন্যাস’ ধর্মে দীক্ষিত না করেই কেন এত বড় উপাধি দিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি বেশ কটাক্ষের সুরে ঋষি অজয় বলেন, "এটি ‘বিগ বস’-এর মতো কোনও রিয়্যালিটি শো নয় যে, মহাকুম্ভের সময় কিছু করবে আর তারপর কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকবে।”
গত ২৪ জানুয়ারি কিন্নর আখড়ায় সেখানকার মহামন্ডলেশ্বর আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণের সঙ্গে দেখা করেন মমতা কুলকার্নি। তাঁর হাত ধরেই জীবনের আধ্যাত্মিক ইনিংস শুরু করেন সলমন-শাহরুখের অভিনেত্রী। পরনে গেরুয়া পোশাক, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে গেরুয়া তিলক পরে সন্ন্যাসিনীর বেশে মমতার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। যদিও সন্ন্যাস গ্রহণের পরই তাঁর মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি পাওয়া নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের জন্য পুণ্যলাভ! ৭ দিনের মধ্যেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে একাধিক ছবিতে লাস্যময়ী রূপে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। অক্ষয় কুমার, আমির খান, সলমন খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। তাঁর অনুরাগীও অসংখ্য। তার পরে হঠাৎই বলিউড থেকে সরে যান মমতা কুলকর্নি।
