বলিউডের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে বারবার। কখনও শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের কুখ্যাত ক্রুজ ড্রাগস মামলায় নেতৃত্ব, কখনও বিতর্কিত অভিযোগ। এবার ফের আলোচনার কেন্দ্রে প্রাক্তন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে।
তাঁর অভিযোগ—নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত সাত এপিসোডের ওয়েব সিরিজ “ব্যা**ডস অফ বলিউড ” তাঁকে এবং গোটা অ্যান্টি-ড্রাগ এজেন্সিকে কুৎসিতভাবে চিত্রিত করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে যে কাণ্ড এবার করলেন এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক তা দেখে চোখ কপালে তোলা থেকে হাসাহাসি শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়।
ফের আরিয়ান খান-কে নিজের নিশানায় রাখলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছেন এই এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক। দাবি করেছেন ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, সঙ্গে সিরিজটির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা! তাঁর বক্তব্য—“এই সিরিজ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বানানো হয়েছে। এতে এনসিবি-সহ গোটা এন্টি-ড্রাগ এজেন্সির প্রতি জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”
বিতর্কের সূত্রপাত ঠিক কথা থেকে? ব্যাডস অফ বলিউড সিরিজের প্রথম পর্বেই দেখা যায়—একজন চেঁচামেচি করা অফিসার, নিজেকে ‘ড্রাগ-বিরোধী যুদ্ধের সৈনিক’ বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি নাকি “এনসিজি”-র সঙ্গে যুক্ত, বলিউডের পার্টিতে ঢুকে অভিনেতাদের ড্রাগস সংস্কৃতি নিয়ে তোপ দাগছেন।কিন্তু আসল বিস্ফোরণ ঘটায় তাঁর লুক—সাদা শার্ট, কালো ট্রাউজার, হেয়ারস্টাইল—সবকিছুই নাকি ওয়াংখেড়ের হুবহু প্রতিরূপ।

এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা—এ কি তাহলে ওয়াংখেড়েকে নিশানা করেই তৈরি চরিত্র? যদিও নির্মাতারা এখনও পর্যন্ত সরাসরি কিছু স্বীকার করেননি।
মামলায় কাদের জড়ালেন ওয়াংখেড়ে?
তাঁর করা মানহানির মামলায় রয়েছেন—
নেটফ্লিক্স
রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট (শাহরুখ খান ও গৌরী খানের প্রযোজনা সংস্থা),
এবং আরও কয়েকটি যুক্ত সংস্থা।
ওয়াংখেড়ের দাবি, এই সিরিজ “ভিত্তিহীন, ক্ষতিকারক ও কুৎসাপূর্ণ”।
দ্বিতীয় বিতর্ক: রণবীর কাপুরের দৃশ্য।
শুধু ওয়াংখেড়ে নন, সিরিজটির শেষ পর্বে রয়েছে আরও এক চরম বিতর্ক। অভিনেতা রণবীর কাপুরকে দেখা গেছে ই-সিগারেট ব্যবহার করতে, অথচ স্ক্রিনে আইনানুগ সতর্কীকরণ নেই। এবার তাতে ঝাঁপিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের সদস্য প্রিয়ঙ্ক কানুনগো মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন—রণবীর, নেটফ্লিক্স ও প্রযোজক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে।
