শনিবার হয়ে গেল চলতি বছরের স্ক্রিনিং কমিটির শেষ বৈঠক। এদিন উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত সহ স্বরূপ বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, রাণা সরকার সহ আরও অনেকে। তবে এদিনের বৈঠকে দেখা মেলেনি দেবের। প্রথমদিকে সমর্থন জানালেও জানা যাচ্ছে, এবার তিনি উল্টো পথে হাঁটছেন। কিন্তু কেন? 

 

আজকাল ডট ইন-কে পিয়া সেনগুপ্ত এই বিষয়ে বলেন, "গতকাল যে বৈঠক ছিল, তাতে অনেকেই উপস্থিত হতে পারেননি। দেবও ওর কোনও ব্যক্তিগত কাজে আটকে পড়েছিল। তাই আস্তে পারেনি। কিন্তু এই যে ও সরে এল স্ক্রিনিং কমিটির সমর্থন থেকে এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ওর নিজস্ব মতামত। আমরা যখন ভোটিং প্রসেসটা নিয়ে এগোলাম তখন ও ফোনে জানালো যে ওর সমর্থন নেই এতে। কেন নেই, সেটা আর জানায়নি।" 

 

পিয়া সেনগুপ্ত বলেন, "প্রথম সারির পরিচালক-প্রযোজকদের পাশাপাশি নতুন পরিচালক-প্রযোজকদেরও প্রাইম ডেট পাওয়া উচিত। তবেই তাঁরা কাজে উৎসাহী হবেন। এ দিনের আলোচনায় এটাই মূল বক্তব্য ছিল। এটা নিয়ে আগেও কথা হয়েছে। কিছু প্রযোজক যদি একচেটিয়া প্রাইম স্লট নিয়ে রাখেন তাহলে নতুনরা যাবে কোথায়? তাই সবাইকে মিলেমিশে ভাগ করে নিতে হবে স্লট। আপাতত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ১৯ জানুয়ারি ফের সাংবাদিক সম্মেলন করে ২০২৬ সালের বাংলা ছবির ক্যালেন্ডার প্রকাশ্যে আনা হবে।"

 

পিয়া জানিয়েছেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রীকান্ত মোহতা, নিসপাল সিংহ রানে, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শতদীপ সাহা, ফিরদৌসল হাসান, রাজকুমার দামানি, পঙ্কজ লাডিয়া, রাণা সরকার, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এ দিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল টলিউডের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের। তালিকায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নবীন চৌখানি, নীলরতন দত্ত, সুভাষ সেন, ঋতব্রত ভট্টাচার্য, সরোজ মুখোপাধ্যায়। তাঁরা প্রত্যেকে স্টেক হোল্ডার। একই সঙ্গে কমিটিকে সমর্থন জানিয়েছেন।


   
প্রসঙ্গত, এর আগে জানা গিয়েছিল ২ কোটি টাকার কম বাজেটের ছবি প্রাইম টাইম পাবে না। এই বিষয়ে আজকাল ডট ইন-এর কাছে মুখ খুলেছিলেন দেব।‌ তাঁর কথায়, "আমি যদি এই বছর পুজোয় ছবি না আনতে পারি, তাহলে আমি অপেক্ষা করব যাতে পরের পুজোয় ছবি নিয়ে আসতে পারি। কারণ বাকি ডেটগুলো তো বাকিরা নিয়ে নিয়েছে। এটা আমি তাও যদি ম্যানেজ করতে পারি, নতুন প্রযোজকরা তো আসবেই না। তাঁরা তো বলবে কোথায় ইনভেস্ট করব, কেন করব। ২ কোটি যদি বিনিয়োগ করতে হয়, সে তো দেড় কোটি অন্তত রিটার্ন চাইবে। এটা একটা দিক।"

 


তিনি আরও বলেছিলেন, "অবতার বড়দিনে আসছে। খাদান বড়দিনে এনেছিলাম, ৮ কোটি টাকার রঘু ডাকাত পুজোয় এসেছিল। এটাও (প্রজাপতি ২) লন্ডনে শুটিং করেছি, সেটাও বড়দিনে আসছে। বিষয়টা আসলে জটিল। সমস্যা হচ্ছে, শুরুর আগেই আমরা সেরা সময়গুলো নিয়ে নিলাম। আবার বলা হচ্ছে, ৬টা ছবি করলে ৩ টের জন্য সেরা সময় পাবে। এটা পুরোপুরি ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিসে চলছে। এটা যদি সফল হয়, তাহলে ভাল। যদি না, ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়বে। আমার প্রস্তাব ছিল যে এটা করবেন না। রিলিজ পুরোটাই নিজেদের বোঝাপড়ার ব্যাপার।"

 

 

তবে এবার কেন স্ক্রিনিং কমিটির সমর্থন থেকে পিছিয়ে এলেন 'মেগাস্টার'! সেটা এখনও খোলসা নয়।