সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘দেব ডি’-র সেই জনপ্রিয় গান ‘ইমোশনাল অত্যাচার’ নিয়ে আজও দ্বিধায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি! ছবির ওই গানের ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল নওয়াজকে। অভিনেতা বললেন, “শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল খুব একটা সুখকর নয়। তবু গানটা দারুণ হিট করেছিল, সেটা ভেবেই আমি অবাক।” সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন বলিউডের এই শক্তিশালী অভিনেতা।

 

আরও বিস্ফোরক কথা বললেন নওয়াজ—“অভিনেতারা বিয়েতে নাচলে লোকে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু এতে দোষের কী আছে? নাচতে জানলে ও সুযোগ পেলে আমিও নাচতাম! কারণ, দিনশেষে আমরা তো ভাঁড়— আর ‘ভাঁড়গিরি’ এখনও চলে।” তিনি আরও বলেন, “আগে গ্রাম-সমাজে ভাঁড়দের জায়গা হতো না সভ্য লোকেদের মাঝে। তাদের মনে করা হতো আদর্শহীন, বিশ্বাসহীন, খারাপ প্রভাব ফেলা মানুষ—সভ্য সমাজে যাদের কোনও স্থান নেই। গ্রামের বাইরে তাঁবুতে থাকত তারা। শুধুমাত্র পারফর্ম করার সময় ডেকে আনা হতো—তারপর আবার তাড়িয়ে দেওয়া হত।”

 

নওয়াজের বক্তব্য, “আজ আমরা ধনী, শিক্ষিত বলেই সমাজে জায়গা পেয়েছি—তবে ভিতরে ভিতরে আমরা এখনও বহিরাগত। আমরা চেষ্টা করি মিশে যেতে, কিন্তু ভিতরে ‘ভাঁড়’ সত্তা থেকেই যায়।”

 

কিছুদিন আগে বলিউডের সাম্প্রতিক সংস্কৃতিকে একহাত নিয়েছিলেন নওয়াজ। জানিয়েছিলেন, নতুনত্বের অভাবে ভুগছে বলিউড! সৃজনশীলতার দেউলিয়া মাঝেই হাঁপিয়ে উঠছে হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রি — সোজাসাপটা মন্তব্য ছিল নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। নওয়াজের কথায়, “বলিউডে নিরাপত্তাহীনতাও প্রবল। ছবিতে একটা ফর্মুলা চলে মানেই সবাই সেটাকেই অন্তত বছর পাঁচেক ধরে ঘষে-মেজে চালাতে থাকে। ওইভাবেই দর্শকের সামনে পেশ করতে থাকে। এরপর দর্শক যখন তাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন ওই ফর্মুলাটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ততদিনে সৃজনশীলতা পুরোপুরি শেষ! এখন তো একটা ছবি হিট করলেই তার ২, ৩, ৪ নম্বর সিক্যুয়েল বেরোতে থাকে। এটা আর কিছু নয়, একেবারে ‘সৃজনশীলতার দারিদ্রতা’! এক কথায়, বলিউড এখন মৌলিকতার দিক থেকে পুরোপুরি ভিখিরি!”