সংবাদ সংস্থা মুম্বই: তিন দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় রোম্যান্টিক নায়ক হিসাবে তাঁর প্রবল জনপ্রিয়তা থাকলেও বাস্তবের রোম্যান্স বারবার ব্যর্থ হয়েছেন সলমন খান। সম্পর্কে জড়িয়ে প্রতিবার হৃদয় ভেঙেছে তাঁর। সঙ্গীতা বিজলানি থেকে ঐশ্বর্য রাই হয়ে ক্যাটরিনা কইফ, ছবিটা বদলায়নি ‘টাইগার’-এর ক্ষেত্রে। আরবাজ খানের পুত্র আরহানের পডকাস্ট শো-এর অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন সলমন খান। সেখানে আরবাজকে ভাঙা মন ঠিক রাখার পথ বাতলালেন ‘ভাইজান’।
ভাইপো আরহানকে সলমনের পরামর্শ “যদি সম্পর্ক থেকে তোমার বান্ধবী বেরিয়ে যেতে চায়, তাঁকে যেতে দাও। মন ভেঙে গেলেও যেতে দাও। তারপর...যখন শরীরের থেকে ব্যান্ড এইড উঠিয়ে ফেলতে হয় কিভাবে ওঠাও? একেবারে টেনে তুলে ফেলি, তাই না? এখানেও ঠিক তাই করো। মন ভাঙার পর ঘরের মধ্যে যাও, মন খুলে কাঁদো। ঐখানেই শেষ করো গোটা বিষয়টা। তারপর চোখ মুছে বাইরে বেরোও। বেরিয়ে উল্টে তুমি সবাইকে জিজ্ঞেস করো, কি সব ঠিকঠাক তো?" সম্পর্কের ব্যাপারে আরও বলেন, “যখনই সম্পর্কে কোনও ভুল কিছু করবে ক্ষমাপ্রার্থী হবে, নিজের ভুল স্বীকার করতে কোনও কুণ্ঠা বোধ করবে না। আবার ধন্যবাদ জানাতে হলেও উদাত্ত গলায় জানাবে।”
ভাইপো আরহানকে জীবনের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সলমনের কথায়, “সব সময়ে পরিবার ও বন্ধুদের পাশে থাকবে। এটা সারা জীবন তোমাকে করেই যেতে হবে।” ৫৯ বছর বয়সে এসেও নিজেকে নানা পরামর্শ দেন অভিনেতা। একটি পরামর্শ তিনি দেন ভাইপোকেও। বলেন, “আমি নিজেকে একটা পরামর্শ দিই। সেই পরামর্শই তোমাকে দেব। এই পরামর্শ শুনে হয়তো তুমি আমাকে ঘৃণা করবে। আমি নিজেকে এই পরামর্শ আরও রূঢ় ভাবে দিয়ে থাকি। জীবনে কাউকে এক বার ক্ষমা করা যায়, দু’বার ক্ষমা করা যায়। তিন বার হয়ে গেলে, সেই ব্যক্তিকে নিজের জীবন থেকে হঠিয়ে দাও।”
পডকাস্টে আরহানের উদ্দেশ্যে সলমনকে আরও বলতে শোনা গেল, “কোনও পরিস্থিতে যখন তুমি অসম্ভব ক্লান্ত, শরীর ক্রমাগত বার্তা দিচ্ছে ‘না’, তখন যেন তোমার মন বলে ‘হ্যাঁ’। আবার যখন যখন তোমার শরীর ও মন দুইই বলছে ‘না’, তখন নিজেকে নিজেই উদ্বুদ্ধ করতে জোর গলায় বলবে, “চলো, শেষবারের মতো চেষ্টা করা যাক!” পরের প্রজন্মের উদ্দেশ্যে জীবনের পরামর্শ দেওয়ার ফাঁকেই সলমনোচিত রসিকতা করতে ভুললেন না 'টাইগার –“এই শো-এ আমি-ই সবথেকে বোকা। নইলে তোমাদের মতো হাড্ডি বোকাদের সঙ্গে বসে এসব কথাবার্তা বলি!”
