২৪ নভেম্বর, সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বলিউডের কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র। ৮৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা কয়েকদিন আগেই শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর কয়েকদিন আগে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সকালে আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তারপরেই আসে দুঃসংবাদ। ছয় দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে অ্যাকশন হিরো থেকে রোমান্টিক নায়ক- এমনকী অভিজ্ঞ চরিত্রাভিনেতা; সব ধরনের ভূমিকায় সাফল্য পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। ভক্ত, সহ-অভিনেতা থেকে শুরু করে নবীন শিল্পীরাও স্মৃতিচারণায় ভাসছেন। শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা-পরিচালক অর্জুন চক্রবর্তী। 

বর্ষীয়ান অভিনেতাকে নিয়ে স্মৃতিতে ডুব দেন অভিনেতা। কলেজে ছাত্র থাকা অবস্থায় ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা থেকে ‘বীরু’-র বাড়িতে তাঁর ছেলে সানি দেওলের সঙ্গে শুট করতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ফেসবুকে এক নাতিদীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন অর্জুন।  আরও জানিয়েছেন দীর্ঘ বছর পরেও সেই ঘটনার কথা অর্জুনের মুখে জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছিলেন ধর্মেন্দ্র।, যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন খোদ সানি দেওল-ও! 

 

 

 

ফেসবুকে অর্জুন লিখেছেন, “হিরো তো অনেক আছে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনেও নায়ক হওয়া!
আমি নিজের চোখে দেখেছি।
আমি যখন উদয়পুর মহারানা কলেজে পড়তাম সেই সময় উনি এসেছিলেন মেরা গাও মেরা দেশ ছবির শুটিং এ।
সেখানে কলেজের ছেলেদের সঙ্গে ওই ছবির কলাকুশলীরা একটা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল।
আমি তখন কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলাম এবং আমি ও আরো কয়েকজন এর মধ্যস্থতায় ব্যপারটা ভালোয় ভালোয় মিটে গেছিল।
তারপর অনেক বছর কেটে গেছে।
আমার পরিচালিত বাংলা ছবি টলিলাইটস এ সনি দেওল ছিল।
ও আমায় বললো ওর জুহুর বাড়িতে শুট করার জন্য।
আমি পৌঁছলাম।
গিয়ে দেখি সামনে বসার ঘরে আমাদের হী ম্যান বসে আছেন। আমি প্রনাম করলাম উনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন।
আমি আমার জীবনে অনেক সুপুরুষ দেখেছি কিন্তু এরম দেখিনি।
এ যেন অন্য জগতের মানুষ!
একটু পরে আমি ওনাকে উদয়পুরের সেই সময়কার ঘটনা বললাম।
আশ্চর্য! দেখলাম ওনার সব কিছু মনে আছে!
শুটিং এর জন্য একটা বড় গাড়ির প্রয়োজন ছিল। উনি নিজের গাড়ি আমাদের দিয়ে দিলেন!
সনি আমায় বলেছিল, "অবাক কান্ড, বাবা এই গাড়িতে কাউকে হাত পর্জন্ত দিতে দ্যান না"!
এই ছবিটা ওনার বসার ঘরে তোলা।
আজ সত্যিকারের নায়কের প্রস্থান, ভীষণ ভাবে নাড়া দিচ্ছে আমায়।
ঈশ্বর সন্তান ঈশ্বরের কাছে ফিরে গেলেন।”

(পোস্টের বানান অপরিবর্তিত রাখা হল।)