‘রক্তবীজ ২’-এর টিজার প্রকাশ্যে। চিরাচরিত ছক ভেঙে অন্য রূপে অঙ্কুশ হাজরা। আদ্যপান্ত বাণিজ্যিক ছবির হিট নায়ক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের অ্যাকশন থ্রিলারে খলনায়ক। চরিত্রের নাম মুনির আলম। শান্ত চাউনি, পরিমিত অভিব্যক্তি। জীবনের মন্ত্র, ‘মাইনষের থেইক্যা মকসদ বড়।’ ছবির প্রথম ঝলক দর্শকের মনে ধরেছে। 

‘রক্তবীজ’ যাঁরা দেখেছেন, সিকুয়েলে অঙ্কুশের উপস্থিতি তাঁদের কাছে নতুন চমক নয়। কিন্তু তাঁর নয়া অবতার নিয়েও আগ্রহ নিছক কম নয়। আজকাল ডট ইন-কে অঙ্কুশ বলেন, “এই মুহূর্তে ছবিটি বা আমার চরিত্র নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে টিজার মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়ায় খুবই খুশি। তাঁরা আমাকে এই নতুন অবতারে গ্রহণ করেছেন ভেবে ভাল লাগছে। আশা করি ছবিটিও সকলে উপভোগ করবেন।”

বহু বছর পর মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে পর্দায় অঙ্কুশের প্রত্যাবর্তন। সৌজন্যে ‘রক্তবীজ’ ২। তবে পর্দায় এবার প্রেম নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অনুরাগীরা তাঁদের একসঙ্গে দেখতে চেয়েছিলেন। পুজোয় সেই ইচ্ছাপূরণের পালা। নায়কের কথায়, “অনেক দিন পর মিমির সঙ্গে কাজ করলাম। আগের মতোই মজা করেছি। সব মিলিয়ে শুটের দারুণ অভিজ্ঞতা।”

বেশ কয়েক বছর পুজোতে অঙ্কুশের ছবি মুক্তি পায়নি। ধরেই নেওয়া যায়, এবার উৎসবের চারটে দিন জুড়ে থাকবে ছবির প্রচার, বক্স অফিসের হিসেবনিকেশ, প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শনের ব্যস্ততা। তাতে যদিও আপত্তি নেই নায়কের। তাঁর কথায়, “পুজো আমার জন্য বেশ লাকি। এখনও পর্যন্ত পুজোর সময় আমার যে ক’টি ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগই সফল। আশা করি এবারও অন্যথা হবে না। ওই দিনগুলোতে ছবি কেমন চলছে, কত মানুষ আমাদের ছবি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এসব জানতে ভালই লাগবে।”

এ যাবৎকাল অঙ্কুশকে সাফল্য এনে দিয়েছে ‘কমার্শিয়াল হিরো’র তকমা। বিষয়ভিত্তির ছবি যে তিনি করেননি, তেমনটা নয়। তবে বক্স অফিসে সেই সব ছবির ভাঁড়ার রয়ে গিয়েছে ফাঁকা। তবু পর্দায় নিজেকে নিয়ে কাটাছেঁড়া চালাতে আপত্তি নেই নায়কের। অঙ্কুশ বললেন, “আমার ভাল চরিত্র করার নেশা। সব সময় যে সেটা করে সফল হয়েছি, তা নয়। তবু এই এক্সপেরিমেন্টটা আমি চালিয়ে যেতে চাই। এই চেষ্টা করে যাওয়া আমাকে উৎসাহ দেয়।”

বুধবার প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির পাওয়া নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে বছরের ৩৬৫ দিন সিনেমা হলে এবং মাল্টিপ্লেক্সের সকল স্ক্রিনে বাংলা ছবির প্রাইম টাইম শো/স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে বাংলা ছবির শো থাকবেই। টলিউডের অন্যান্যদের মতো আশ্বস্ত অঙ্কুশও। বললেন, “হিন্দি ছবির জন্য আর আমাদের ছবিকে কোণঠাসা হতে হবে না। অনেক সময় দেখেছি প্রতিভাহীন নেপো-কিডদের ছবির জন্য আামাদের সুপারস্টাররা হল পাননি। এটা খুব দুঃখের। অবশেষে এর প্রতিকার মিলল।”

অনেক সময়ই দেখা যায়, একসঙ্গে অনেকগুলি বড় বাজেটের বাংলা ছবি মুক্তি পায়। প্রত্যেক বছরই পুজোর সময় অন্তত তিন-চারটি ছবি শো পেতে লড়াই করে। সে ক্ষেত্রে সমাধান কী? অঙ্কুশের সাফ জবাব, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দি ছবির হাত থেকে আমাদের ভাষাকে রক্ষা করা। আপাতত সেটা হয়েছে। বাকিটা পরে দেখা যাবে। একসঙ্গে অনেকগুলি বাংলা ছবি মুক্তি পেলে, দর্শক ঠিক করবেন কোনটি তাঁদের বেশি পছন্দের। সেই ছবিই প্রাধান্য পাবে।”