আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোদি সরকার রিয়েল-মানি গেমিং নিষিদ্ধ করার পর ড্রিম১১-এর মূল কোম্পানি, ড্রিম স্পোর্টস, আর্থিক পরিষেবাগুলিতে প্রবেশের লক্ষ্যে ‘ড্রিম মানি’ নামে একটি নতুন অ্যাপ চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রিয়েল-মানি গেমিংয়ের উপর সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে এই পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাটি। এর ফলে ভারতীয় ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্মগুলিকে ফ্যান্টাসি স্পোর্টস এবং গেমিংয়ের বাইরে বিকল্প প্ল্যাটফর্মগুলি অন্বেষণ করতে বাধ্য করেছে। সরকারের পদক্ষেপের পর হর্ষ জৈনের নেতৃত্বে ড্রিম ১১-এর মূল সংস্থা কীভাবে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তা তুলে ধরা হল আজকের প্রতিবেদনে।
একইভাবে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম উইনজোও নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে আসার কাজ শুরু করছে। ভারতের রিয়েল-মানি গেমিং সেক্টরকে নাড়িয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে এবং আয় বজায় রাখতে উভয় সংস্থাই তাদের অফারগুলিকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।
হর্ষ জৈন বলেন, “যখন আমাদের ব্যবসায়িক মডেল সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত ছিল, তখন আমরা এটি পরিচালনা করেছিলাম। এখন যেহেতু আইন পরিবর্তিত হয়েছে, আমরা অবিলম্বে তা মেনে চলেছি - এমনকি নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই। এবং আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি: ড্রিম১১ এই আইনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে না।”
অনলাইন গেমিং বিলের পর, ড্রিম ১১-এর সিইও বলেছেন যে তাঁর সংস্থা ড্রিমক্রিকেট, ড্রিমমানি, ড্রিমসেটগো এবং ফ্যানকোডের উপর মনোযোগ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফোন সারাই করে এ কী বিপদে পড়লেন কলকাতার মহিলা! হাজার হাজার পুরুষ চাইছেন একটাই ‘জিনিস’
বুধবার লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চ কক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিতর্ক ছাড়াই ধ্বনিভোটে পাশ হয় বিলটি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলেই বলবৎ হবে আইনটি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিলটির লক্ষ্য ই-স্পোর্টস এবং ক্যাজুয়াল গেমিংকে উৎসাহিত করা। তবে আসক্তি, আর্থিক ক্ষতি এবং নিরাপত্তা হুমকির উদ্বেগের কারণে অর্থের বিনিময়ে গেমিং এবং গড়াপেটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষের অনুমোদনের পর, অনলাইনে অর্থের বিনিময়ে গেমিং অফার করা বা সহায়তাতেও করার জন্য এখন তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং/অথবা এক কোটি পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। বিলটিতে অনলাইন অর্থের গেম সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার এবং ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই জাতীয় যে কোনও গেমের জন্য টাকা স্থানান্তর থেকে বিরত রাখারও চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০৩৮ সালেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, ছাড়িয়ে যাবে আমেরিকাকেও, দাবি সমীক্ষায়
বিলটি পেশ করার সময় বৈষ্ণব পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে অংশ নিয়ে দেশের অন্তত ৪৫ কোটি মানুষ টাকা খুইয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরণের অনেক প্ল্যাটফর্ম অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদে এটি পাস হওয়ার একদিন পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার অনলাইন গেমিং প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০২৫-এ সম্মতি দিয়েছেন।
