আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত জনপ্রিয় ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই)-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট অনুমোদনের জন্য একটি নতুন উপায় চালু করতে প্রস্তুত। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্র অনুসারে- ৪ অক্টোবর থেকে ইউপিআই ব্যবহারকারীরা ফেসিয়াল রিকগনিশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে লেনদেন প্রমাণীকরণ করতে সক্ষম হবেন।
আধারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ:
নতুন প্রমাণীকরণ ব্যবস্থা সরকারের আধার সিস্টেমের অধীনে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার করবে। এটি বর্তমান পদ্ধতি থেকে একটি পরিবর্তন চিহ্নিত করে, যার জন্য ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট অনুমোদনের জন্য একটি সংখ্যাসূচক পিন প্রবেশ করতে হয়।
এই পদক্ষেপটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুসরণ করে যা ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য বিকল্প প্রমাণীকরণ পদ্ধতিগুলিকে অনুমতি দেয়। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর জন্য ইউপিআই লেনদেন দ্রুত, নিরাপদ এবং আরও সুবিধাজনক করে তোলা।
ফিনটেক উৎসবে বৈশিষ্ট্যটি প্রদর্শন করবে এনপিসিআই:
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই), যা ইউপিআই পরিচালনা করে, মুম্বইতে চলমান গ্লোবাল ফিনটেক উৎসবে নতুন বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যটি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করছে। সূত্রগুলো নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছে কারণ তাদের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি ছিল না।
ইউপিআই ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে, প্রতি মাসে কোটি কোটি লেনদেন পরিচালনা করে। বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ প্রবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীদের সুবিধা এবং সুরক্ষা আরও বৃদ্ধি পাবে, পিনের উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে এবং সুরক্ষা মান বজায় থাকবে।
এদিকে, এনপিসিআই উপরোক্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
সুবিধা কী কী?
অতিরিক্ত সুরক্ষা: বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পিন-ভিত্তিক সুরক্ষার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। এর ফলে আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
দ্রুত লেনদেন: পিন টাইপ করার ঝামেলা না থাকায় কেনাকাটার সময় বা অন্য যেকোনও জরুরি মুহূর্তে খুব দ্রুত পেমেন্ট করা সম্ভব হবে।
সহজ ব্যবহার: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে অনভ্যস্ত, যেমন গ্রামের মানুষ বা বয়স্ক ব্যক্তিরা, তাঁরাও সহজে এই পদ্ধতিতে লেনদেন করতে পারবেন।
প্রতারণা রোধ: যেহেতু বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন মুখ বা আঙুলের ছাপ চুরি করা কঠিন, তাই ইউপিআই সম্পর্কিত জালিয়াতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চিন্তার বিষয়:
যদিও এই প্রযুক্তি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে, কিছু বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে। যেমন, ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং এটি যাতে কোনওভাবেই অপব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমস্ত ব্যবহারকারীর কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
