আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেক ক্লিয়ারিং আরও দ্রুত করার লক্ষ্যে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যে নতুন কাঠামো চালু করতে চলেছিল তার দ্বিতীয় ধাপ স্থগিত করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই ফেজ–২ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এই ধাপে ব্যাঙ্কগুলিকে চেকের ইমেজ পাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই তা মঞ্জুর বা বাতিল করার বাধ্যবাধকতা থাকত। তবে ২৪ ডিসেম্বর জারি করা এক সার্কুলারে আরবিআই জানিয়েছে, কন্টিনিউয়াস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট ব্যবস্থার ফেজ–২ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি চেক প্রক্রিয়াকরণের কাজের সময়েও কিছু পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, চেক জমা দেওয়ার সময়সীমা হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। আর ব্যাঙ্কগুলি সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে চেক অনুমোদন বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
আগে কী পরিবর্তন এসেছিল
আরবিআই চেক ট্রাঙ্কেশন সিস্টেমের আওতায় কন্টিনিউয়াস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট ব্যবস্থা চালু করে, যাতে চেক ক্লিয়ারিং আরও দ্রুত ও মসৃণ হয়। এই ব্যবস্থায় চেক এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। বরং ডিজিটাল ইমেজ ও ইলেকট্রনিক তথ্যের মাধ্যমেই চেক নিষ্পত্তি হয়।
৪ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে চালু হওয়া ফেজ–১ দিনের মধ্যে একটিমাত্র উইন্ডো চালু করা হয়। ব্যাঙ্কগুলি চেক পাওয়া মাত্রই তার ইমেজ ও এমআইসিআর তথ্য ক্লিয়ারিং হাউসে পাঠাতে শুরু করে। নির্দিষ্ট ব্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ব্যাঙ্ক চেকের ইমেজ পাওয়ার পর তা যাচাই করে ইলেকট্রনিকভাবে অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া না এলে চেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদিত বলে ধরা হয়।
ফেজ–২ কী করতে চেয়েছিল
৩ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ফেজ–২ চেক ক্লিয়ারিং। এই ধাপে ব্যাঙ্কের হাতে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা সময় থাকত চেক অনুমোদন বা বাতিল করার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও উত্তর না এলে চেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লিয়ার হয়ে যেত। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির উপর দ্রুত কাজ শেষ করার চাপ বাড়ত এবং গ্রাহকরা তাড়াতাড়ি টাকা পেতেন।
&t=122s
ফেজ–২ পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন ব্যবস্থার কার্যকর হতে আরও দেরি হবে। আপাতত চেক ক্লিয়ারিং ফেজ–১-এর নিয়মেই চলবে, যেখানে তিন ঘণ্টার কঠোর সময়সীমা নেই। আরবিআই জানিয়েছে, ফেজ–২ কবে থেকে চালু হবে, তা পরে আলাদা করে ঘোষণা করা হবে।
