আজকাল ওয়েবডেস্ক: দু'এক বছর আগে পর্যন্ত শেয়ার বাজারে পয়সা ঢালতে অনীহা ছিল সাধারণ মানুষের। এমনকি মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লগ্নি করতেই দ্বিধা করতেন। এখন ধারণা পাল্টে গিয়েছে। স্মার্টফোন এবং প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় যুব সমাজের অনেকেই এখন মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করছেন। ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানতের তুলনায় ভাল রিটার্ন একে আরও আকর্ষিত করে তুলেছে।
দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ সৃষ্টিতে মিউচুয়াল ফান্ডের কার্যকারিতার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে, মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লগ্নি করার সময়ে বিনিয়োগকারীদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। পছন্দ মতো মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেওয়াটা কিন্তু আপনার দায়িত্ব।
কী উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ: স্বল্পমেয়াদী না দীর্ঘমেয়াদী, কী উদ্দেশ্যে টাকা লগ্নি করতে চাইছি, কতটা রিটার্ন চাইছি এবং কতটা ঝুঁকি বহন করতে পারব-- মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময়ে এই বিষয়গুলি ভেবে রাখা দরকার।
মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজার: একজন মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজার হলেন একজন আর্থিক বিশেষজ্ঞ যিনি ফান্ডের পোর্টফোলিও পরিচালনা করেন। এর পাশাপাশি যেই লক্ষ্যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে তা পূরণ হচ্ছে কি না সে দিকে নজর রাখা। অনেকেই ফান্ড ম্যানেজার খোঁজার সময়ে ‘আলফা’ নামের একটি শব্দের মুখোমুখি হতে পারেন। এই আলফার নিরিখেই ম্যানেজারের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করা যায়।
ফান্ডের পুঁজি: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করার আগে দেখে নিতে হবে যে, যিনি তহবিলে বিনিয়োগ করছেন, তাঁর পুঁজি যেন মোটা অঙ্কের হয়। অর্থাৎ, ফান্ডের স্থিতিশীলতা যেন অল্প সংখ্যক লগ্নিকারীর উপর নির্ভর না করে।
যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে সেটিকে নিয়ে যথাযথ চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফান্ডটির বিনিয়োগের উদ্দেশ্য এবং কৌশল। ফান্ডটির ফি এবং ব্যয়। তহবিল যে সমস্ত জায়গায় বিনিয়োগ করছে সে দিকগুলির দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
