আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বেচ্ছায় রুপোর গহনা এবং জিনিসপত্রের হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করার প্রক্রিয়ার প্রভাব মূল্যায়ন করার পর সরকার রুপোর গহনার হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করার কথা বিবেচনা করবে। চলতি মাসের শুরু থেকে রুপোর গহনা এবং জিনিসপত্রের উপর ঐচ্ছিক হলমার্কিং চালু হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের রুপোর ধাতুর বিশুদ্ধতা যাচাই অনেকটা সহজ হয়েছে।

রুপোর দাম বৃদ্ধি অব্যাহত
সোনা ও রুপার দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এই দুই মূল্যবান ধাতুর দামই সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। অল ইন্ডিয়া সরাফা অ্যাসোসিয়েশনের মতে, শুক্রবার দিল্লিতে রুপোর দাম চার হাজার টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১.৩২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে।

রুপোর হলমার্কিং কীভাবে চিহ্নিত করবেন?
ভারতীয় মান ব্যুরো (বিআইএস) রূপার বিশুদ্ধতার জন্য ছয়'টি নতুন মান নির্ধারণ করেছে। এগুলি হল- ৮০০, ৮৩৫, ৯০০, ৯২৫, ৯৭০ এবং ৯৯০। বিআইএস অনুসারে, রূপোর গহনাতে হলমার্কিংয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রথমত, বিআইএস চিহ্ন থাকবে এবং এর সঙ্গে 'SILVER' লেখা থাকবে। এর ঠিক পাশেই, রূপোর গ্রেড লেখা থাকবে। অর্থাৎ রুপোর বিশুদ্ধতা কত, তা ৮০০, ৮৩৫, ৯০০, ৯২৫, ৯৭০ এবং ৯৯০ এর মতো গ্রেড লেখা হবে।

৯৯০ গ্রেডের রূপো হবে সবচেয়ে বিশুদ্ধ। হলমার্কিংয়ের শেষ এবং তৃতীয় জিনিসটি হবে ৬-সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড। এই কোডটি সংখ্যা, বর্ণমালা বা উভয়ের সংমিশ্রণ হতে পারে।

রুপো কেনার সময় সাধারণ মানুষকে জালিয়াতি থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার হলমার্কিংয়ের নিয়ম শুরু করেছে। অনেকেই অভিযোগ করেন যে, তারা যে রুপোর গয়না কিনেছেন তাতে ভেজাল রয়েছে। দোকানদাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে খাঁটি রুপোর জন্য টাকা নিয়ে ভেজাল রুপো দিয়েছে। হলমার্কিং করলে ক্রেতার কেনা রুপো কতটা খাঁটি এবং কতটা ভেজাল তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে জেনে রাখা ভাল যে, রুপোরর গহনায় তামা এবং নিকেলের মতো ধাতু মেশানো থাকে।

আরও পড়ুন- বাচ্চাদের জন্য টাকা জমাবেন? মেয়াদপূর্তিতে মিলবে ৩৪ লক্ষ! জেনে নিন এই স্কিম সম্পর্কে