আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজো পেল হাতিরা। শুঁড় উঁচিয়ে 'আশীর্বাদ'ও করল তারা। আনন্দে ঘনঘন ডাকও ছাড়ল। মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা  পূজার দিন ডুয়ার্সে পূজা করা হল তার বাহন(Vahan) হাতিকেও। তবে তা এবছর নতুন নয়, প্রতিবছরই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন হয় এই রীতি। ফি বছরের মতো এবছরও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে আয়োজন করা হল এই পূজার। যেখানে বনকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিলেন বনবস্তির বাসিন্দা-সহ পর্যটকরাও। শুধু কি পুজা! একেবারেই না, পূজা উপলক্ষে হাতিদের জন্য ছিল বিশেষ মেনুও। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের গরুমারা বিট, ধূপঝোড়া বিট এবং বুধুরাম বিটের মোট ২৮টি কুনকি হাতিকে পুজো করা হয়েছে বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

 

এদিন সকাল থেকেই মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোড়ার এলিফ্যান্ট ক্যাম্প গাছবাড়িতে গিয়ে দেখা যায় জেনি, বসন্ত, ফুলমতি, মাধুরী, বিজয়া-সহ বাকি পোষ্য কুনকিদের সাতসকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নদীর ধারে। নদীর জলে ভালো করে স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয়।  এরপর পালা সাজ-সজ্জার। প্রতিটি হাতির গায়ে চক দিয়ে তাদের নাম লিখে দেওয়ার পাশাপাশি গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় মালা। সাড়ম্বরে তাদের পুজো করেন পুরোহিত। বেজে ওঠে শাঁখ। দেওয়া হয় উলুধ্বনি। রীতিমতো মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজো সম্পন্ন করেন পুরোহিত। পুজো শেষে হাতে হাতে হাতিদের মুখে তুলে দেওয়া হয় আঁখ, কলা এবং অন্যান্য ফলমূল। তৃপ্তির ছাপ তাদের মুখে স্পষ্ট তখন। 

 

অনেক পর্যটকই ডুয়ার্সে এই বিশেষ দিনে ভিড় জমান পুজোর স্থানে। অনিতা দাস নামে এক পর্যটক জানান, তিনি কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন কেবল এই পুজো উপলক্ষে। এই রীতি সম্পন্ন হতে দেখে আপ্লুত। তাঁর কথায়, 'দারুন লাগল। এই রীতির কথা এতদিন শুনেছি। আজ দেখলাম।' কান খাড়া করে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েই বুঝি কথাটা শুনল ফুলমতি। বলছে কি পাশের জনকেও! তাই কি কান নাড়ল মাধুরী?