আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার  সন্ধে নাগাদ বহরমপুর থানার কুমড়োদহ ঘাট এলাকায় খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম হায়াতুল্লাহ শেখ (৪৪)। তাঁর বাড়ি বহরমপুর থানার অন্তর্গত কুমড়োদহ ঘাট এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বহরমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। 

মৃত কর্মী সম্পর্কে তৃণমূল পরিচালিত বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুউদ্দিন মন্ডলের  শ্যালক হন। আইজুউদ্দিন বলেন ,"মৃত হায়াতুল্লাহ  আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী  ছিলেন। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা এলাকায় কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। আমার ধারণা রাজনৈতিক  কারণেই হায়াতুল্লাহকে খুন করা হয়েছে।"
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হায়াতুল্লাহ শেখের  কুমড়োদহ ঘাট এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। শুক্রবার সন্ধে নাগাদ কুমড়োদহ ব্রিজের কাছে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে  হায়াতুল্লাহর বিবাদ চলছিল। অভিযোগ উঠেছে সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে  ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় হায়াতুল্লাহ মাটিতে পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
 
 আইজউদ্দিন মন্ডল বলেন, "সাইদুল, তুরাব-সহ আরও কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে আজ সঙ্গে নাগাদ হায়াতুল্লাহর কোনও একটি বিষয় নিয়ে  কথাবার্তা চলছিল। ওই যুবকরা সকলেই এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাদের  সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে হায়াতুল্লাহর রাজনৈতিক বিবাদ রয়েছে।" 
তিনি বলেন," স্থানীয় সূত্র থেকে আমি জানতে পেরেছি ৩-৪ জন এসে হায়াতুল্লাহকে পেটে ছুরি মেরে খুন করেছে। কিন্তু সঠিক কী  নিয়ে তাদের বিবাদ চলছিল এখনও আমার কাছে স্পষ্ট নয়।" যদিও মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস নেতৃত্ব এই খুনের সঙ্গে তাদের কোনও কর্মীর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এই খুন।