আজকাল ওয়েবডেস্ক: কামদুনির নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। রাজ্য ছাড়িয়ে তার আঁচ ছড়িয়েছিল দেশেও। দিনকয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্ট ফাঁসি এবং যাবজ্জীবনের শাস্তিপ্রাপ্ত ৪ জনকে মুক্তি দিয়েছিল। তাতে ফের তীব্র চর্চা হয় রাজ্য জুড়ে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই ৪জন জেলের বাইরে থাকলেও তাদের মেনে চলতে হবে একগুচ্ছ শর্তাবলী। ৪ মুক্তি প্রাপ্তকে প্রতি মাসের প্রথম এবং তৃতীয় সোমবার রাজারহাট থানায় এসে রিপোর্ট করতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে, তার বিস্তারিত সূচি জমা দিতে হবে পুলিশকে। যাওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে এবং ফিরে এসে জানাতে হবে। ফোন নম্বর কিংবা ঠিকানা বদল হলে, তাও পুলিশকে জানাতে হবে। পাসপোর্ট থাকলে জমা দিতে হবে পুলিশের কাছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কোনওভাবেই কোনও প্রকার যোগাযোগ করতে পারবে না তারা। উল্লেখ্য, কামদুনি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায়, নিম্ন আদালত তিন জনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল, কলকাতা হাই কোর্ট তাদের মধ্যে এক জনকে বেকসুর খালাস করে, বাকি দু’জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরও তিন দোষী সাব্যস্তের সাজা মকুব করেছিল উচ্চ আদালত।