আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলায় দাঁড়িয়ে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার, শাহের বঙ্গ সফরের দিনেই, পালটা জবাব দিয়ে দিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সভা থেকে, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে একেবারে পহেলগাঁওয়ের প্রসঙ্গ মমতার মুখে। অমিত শাহ, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এদিন বলেন, 'রাজ্যের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেয় না সরকার। তারা অনুপ্রবেশ নিয়ে শুধু বিএসএফকে দায়ী করে। যদি অনুপ্রবেশ না আটকানো যায় তাহলে বাংলার অস্তিত্ব বিপন্ন।' ঠিক একই দিনে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রকে পালটা বিঁধে মমতা ব্যানার্জির প্রশ্ন, 'বাংলায় শুধু অনুপ্রবেশকারী, কাশ্মীরে নাকি নেই! তাই যদি সত্যি হয়, একটা কথার উত্তর চাই, পহেলগাঁও কি তাহলে আপনারা করলেন?'
সরকারের জমি দেওয়ার প্রসঙ্গেও পালটা জবাব দিয়ে প্রশ্ন করেন, 'আজকে বলছেন মমতা ব্যানার্জি জমি দেয়নি। মমতা ব্যানার্জি এই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন কে করে গিয়েছে?' সঙ্গেই তিনি বলেন, 'আমি যদি জমি না দিতাম, তাহলে এই ইসিএল-এর জমিগুলো, কয়লা তুলবার জন্য, কোথা থেকে আসত? রানিগঞ্জে জমি কে দিয়েছে? জামুরিয়ায় জমি কে দিয়েছে? বাঁকুড়ায় জমি কে দিয়েছে?'
এসআইআর ইস্যুতে এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার সুর চড়িয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি সুর চড়ালেন এসআইআর প্রক্রিয়ায় বয়স্কদের হেনস্থা নিয়ে। এদিন তিনি বলেন, 'এত মানুষের মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত ৫৮ থেকে ৬০জন মারা গিয়েছেন।' পুরুলিয়ায় বৃদ্ধের মৃত্যুর প্রসঙ্গও উঠে এল মমতা ব্যানার্জির মঙ্গলবারের বক্তব্যে। 'শ্রদ্ধা'র প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন তিনি। বলেন, 'ওরা বাবা-মাকে সম্মান করে না।' তারপরেই বলেন, '৬০ বছরের লোককে ডেকে পাঠাচ্ছ, ৭০ বছরের লোককে ডেকে পাঠাচ্ছ, ৭৫ বছরের লোককে ডেকে পাঠাচ্ছ, ৮০ বছরের লোককে ডেকে পাঠাচ্ছ। ৯৬ বছরের লোককে ডেকে পাঠাচ্ছ। লজ্জা করে না?'
&t=2764sএসআইআর-এ ন্যায্য লোকের নাম বাদ গেলে, তাঁর দল যে আন্দোলনে নামবে, বাঁকুড়া থেকে এদিন তা স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। এসআইআর কেন্দ্রের বাইরে বিএলএ-দের ক্যাম্প করার কথাও এদিন তিনি বলেন। সঙ্গেই সাধারণের উদ্দেশে বলেন, 'কেউ ভয় পাবেন না। দল আপনাদের পাশে আছে। সরকারও পাশে আছে।' সঙ্গেই বিজেপি এবং কমিশনকে একযোগে তপ দাগেন তিনি এদিন। বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলাভাষিদের উপর আক্রমণ নিয়েও এদিন ফের সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
