গোপাল সাহা: বারুইপুর পূর্বে বুথ নম্বার ৯৪-তে জেলাশাসক শোকজ করল দুজন বিএলও, একজন এইআরও এবং একজন ইআরও-কে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে একজন বিএলও রাজনৈতিক দল দ্বারা মোটিভেটেড ছিলেন। সেই কারণে নতুন করে বিএলও নিয়োগ করা হয়। সমস্ত কাজ ও স্বাক্ষর করেন পুরনো বিএলও। এই বিষয়টি নজর এড়িয়ে যায় এইআরও এবং ইআরও-র। নতুন করে বিএলও নিযুক্ত করার পরেও এই কাজ কীভাবে হল সেবিষয়ে প্রশ্ন করেছে কমিশন। দোষীদের নির্বাচন কমিশনকে জবাব দিতে হবে দু-তিন দিনের মধ্যেই। এই কারণেই শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের জেলা আধিকারিক ডিএম। শোকজ হওয়া দুজন বিএলও-র নাম সোমা সেন ও দেবী হালদার।
মঙ্গলবার সোনাগাছি চত্বরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিশনের ক্যাম্প করা হলে সেখানে দেখা করতে আসেন সেখানকার ৮০৩ জন যৌনকর্মী। তাদের মধ্যে ২১০ জন ফর্ম-৬ নেয়এবং ফর্ম-৮ গ্রহণ করে ৫১ জন। এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন সিও মনোজ আগরওয়াল সহ উত্তর কলকাতা জেলা আধিকারিক সহ মোট ছয় জন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকও।
এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের ফুল বেঞ্চের ১৮ জনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল আগামী ১১ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন কাজ শেষ করতে হবে। আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষত মৃত ভোটার নিয়ে নজর বেশি করে দিতে হবে।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বেসরকারি বহুতল আবাসনগুলিতে হাই-রাইস বুথ ও সিসিটিভি আওতাভুক্ত করার আবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নজর রাখবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ৫০০ বেশি ভোটার সংখ্যা হলে হাই-রাইজ বুথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের কোনও কিছুই বলার নেই। তাদের কাছে যে আবেদন করা হয়েছে সেটা ফরওয়ার্ড করে দেওয়া হবে জাতীয় নির্বাচনের কাছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এখনও পর্যন্ত ভোটার খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার ভোটার সংখ্যা হল মোট ৫৭,০১,৫৪৮। মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪,০৮,৫৭৪, খুঁজে না পাওয়া ভোটারের সংখ্যা-১১,২৭,৬৪৩, স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা-১৯,৮০,৩৯৩, ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা-১,৩৪,২৩২ জন।
