মিল্টন সেন, হুগলি: ১৬ দিন পর মুক্তির আলো দেখেছেন তাঁরা। ১৬ দিন আটকে ছিলেন সুড়ঙ্গে। ১,২ করে তাঁদের ফিরে আসার দিন গুনছে পরিবার। মঙ্গলবার প্রায় ৪০০ ঘন্টা পর যখন বাইরে এসে দাঁড়ালেন তাঁরা, স্বস্তি ফিরল দেশবাসীর। ওই ৪১ জনের মধ্যে একজন পুরশুড়ার জয়দেব। ১৭ দিন পর হাঁড়ি চড়ল তাঁর বাড়িতে। পরিবারের জন্য মাংস রান্না করলেন জয়দেবের বাবা তপন । ছেলেরা টানেল থেকে বেরিয়ে আসছে দেখে স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছেন হুগলির পুরশুড়ার জয়দেব প্রামাণিকের পরিবার। গত ১২ নভেম্বর উত্তর কাশীতে সুড়ঙ্গের কাজে গেছিলেন হুগলির পুরশুড়ার গ্রামের জয়দেব। তখন থেকেই উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিন কেটেছে পরিবারের। অবশেষে মঙ্গলবার ৭.৫৮ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথমে একজন শ্রমিক মাইক্রো টানেল থেকে বেরিয়ে আসতেই চোখ মুখ পাল্টে যায় পরিবার পরিজনদের। এক প্রকার নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জয়দেবের মা। কিভাবে দীর্ঘ ১৭ দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় দিন কাটিয়েছে তা ভাবতেই উৎকণ্ঠা বাড়ে পরিবারের। যদিও শেষমেষ উদ্ধার হয় তারা সকলেই। হাসি ফোটে পরিবারের মুখে । বুধবার সকালে বাজারে গিয়ে মাংস কিনে আনেন জয়দেবের বাবা তপন প্রামাণিক। পরিবারের জন্য নিজের হাতেই মাংস রান্না করছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৭ দিন বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্ত্রীর মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। যদিও প্রতিবেশীরা খাবার কথা বলেছিলেন, কিন্তু হয়ে ওঠেনি। কারণ যেখানে ছেলে গুহায় আটকে রয়েছে তাঁরা বাবা মা হয়ে কী করে খাবেন। অন্ধকূপ থেকে ছেলে বেরিয়ে এসেছে। এখন তাঁরা অনেকটাই স্বস্তিতে। তাই এদিন সকালে বাজারে গিয়ে মাংস এনে রান্না করেছেন। যদিও তাঁর ছেলে এখনও বাড়ি ফেরেনি, হাসপাতালেই রয়েছেন। সকালেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন। তখন তিনি ছেলেকে নিজের হাতে মাংস রান্না করে খাওয়াবেন।
জয়দেবের মা তপতী প্রামাণিক জানান, সকালেই ছেলের সাথে কথা হয়েছে, তবে সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা এখনো কিছু জানাননি। কয়েকটা দিন খুব উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে কেটেছে ।গতকাল ছেলের সঙ্গে কথা বলে এখন অনেকটাই স্বস্তি।