বিভাস ভট্টাচার্য
প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে রাজ্যে এসে পৌঁছল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। বুধবার এই ট্রেনটি রানাঘাট স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। চেন্নাই ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) থেকে ট্রেনটি রানাঘাট পর্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছে একটি দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিন। তবে বাণিজ্যিকভাবে চালু করার আগে ট্রেনটিকে আপাতত প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক।
ওই আধিকারিক জানান, ট্রেনটির বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। যার মধ্যে রয়েছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম বা যাত্রী সুবিধার জন্য মাইকিং-এর বন্দোবস্ত-সহ আরও বেশ কিছু কাজ। সবকিছু সম্পন্ন করেই ট্রেনটি যাত্রী পরিষেবার কাজে লাগানো হবে।
জানা গিয়েছে, ১২ কামরার এই ট্রেনটিতে বসার আসনের সংখ্যা ১১০০। থাকবে আপৎকালীন প্রয়োজনে যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেন চালক ও গার্ডের সঙ্গে কথা বলার জন্য 'টক ব্যাক' সিস্টেম। গোটা ট্রেনে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রতিটি কামরায় বসানো থাকবে ৩০ টনের এসি মেসিন। স্টিল বডি বা ইস্পাত নির্মিত এই ট্রেনে থাকছে যাত্রীদের মালপত্র রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে ট্রেনে প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত থাকবে 'ভেস্টিবুল' ব্যবস্থা। মেট্রোরেলের মতোই ট্রেন প্ল্যাটফর্মে না ঢোকা পর্যন্ত দরজা খোলা যাবে না।
জানা গিয়েছে, একটি নয়, দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন চলাচলের জন্য আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অফিস আওয়ার্স বা দিনের ব্যস্ত সময়েই চলবে এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। ট্রেনের ভাড়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ কিমি পর্যন্ত টিকিটের মূল্য ২৯ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে।.১১ থেকে ১৫ কিমি পর্যন্ত ভাড়া হবে ৩৭ টাকা। এই ট্রেন চালানো হবে শিয়ালদহ-রানাঘাট রুটে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'এই ট্রেন হল সিটি অফ জয় এবং শহরতলীর বাসিন্দাদের শিয়ালদহ ডিভিশনের একটি উপহার।'
