আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের খাদ্যসামগ্রী মজুত রাখার একটি গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় জুস, বিস্কুট সহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা বাইপাস এলাকায়। ঘটনার সময় গোডাউনের শ্রমিক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থেকে ছুটে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ চেষ্টার পর ওই আগুন নেভান দমকলের কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মেখলিগঞ্জের এসডিপিও আশিস পি সুব্বা, বিডিও অরিন্দম মণ্ডল। 

 

জানা গিয়েছে, ওই গুদাম ঘরে বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ফলের জুস মজুত থাকত। আগুনের লেলিহান শিখা প্রায় অনেকটাই গ্রাস করে ফেলে গুদামটিকে। মেখলিগঞ্জ থেকে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঠান্ডা হাওয়ার কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছিল। আশপাশে আরও একাধিক গুদাম রয়েছে। ফলে সেসব জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা যায়। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ওই স্থলবন্দর এলাকায় তেমন লোকজন ছিল না। এলাকায় পোড়া গন্ধ ছড়াতে থাকে। পরে লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পান ওই স্থলবন্দরের একটি গুদামে আগুন লেগেছে। নিমেষে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই গুদামে। উপস্থিত লোকজন প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু সেই আগুন আয়ত্ত্বে আসার বদলে আরও বাড়তে থাকে। পরে মেখলিগঞ্জ থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন এসে সেই আগুন নেভায়। 

 

এদিন বিডিও অরিন্দম মণ্ডল জানান, 'আমরা খবর পাওয়ার পরেই সেখানে ছুটে যায়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' এদিকে এবিষয়ে গোডাউনের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সঞ্জয় চৌরাশিয়া জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়। হিসেব নিকেশ করে তা পরে জানানো হবে। 

 

উল্লেখ্য, কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-বাংলাদেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে বহু জিনিসপত্র গুদামে রাখা হয়। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগল নাকি অন্য কোনও কারণ, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।