আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। সোমবার নামখানায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। জানা গিয়েছে, ঝড়ের দাপটে ওই বৃদ্ধার বাড়ির চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগডাঙা এলাকার বাসিন্দা রেণুকা মণ্ডল নামে ওই বৃদ্ধা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ওই অঞ্চলে সবথেকে বেশি ছিল ঘূর্ণিঝড়ের দাপট। প্রায় ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে বইছিল ঝোড়ো হাওয়া। সেই সময় ওই অঞ্চলে বাড়িতে বৃদ্ধাকে রাখা হল কেন তা নিয়েই ঊঠছে প্রশ্ন। ঝড়ের আগে মাইকিং করে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বৃদ্ধা যাননি বলেই জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ঝড়ের সময় তিনি নিজের বাড়িতে বসেই খাওয়াদাওয়া করছিলেন। হঠাৎই চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যদিকে, রেমালের ল্যান্ডফলের পর ঝড়, বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে মৃত্যু হল বাবা ছেলের। জানা গিয়েছে, মেমারির কলানবগ্রাম এলাকায় থাকতেন তাঁরা। ঝড়ে বাড়ির পাশে ভেঙে পড়েছিল কলাগাছ। সেই গাছেই পেঁচিয়ে ছিল বিদ্যুতের তার। কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাবা। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ছেলে। মৃত্যু হয় দুজনেরই। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশপুরের নুঙ্গিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃতার নাম তাপসী দাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির বাইরে জল জমেছিল। সেই জমা জলে পা দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মহিলার। হুকিং করা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পানিহাটি এলাকাতেও। মৃতের নাম গোপাল বর্মন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি দোকানে ওই তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ যেত। ঝড়ে সেই তার খুলে পড়েছিল রাস্তায়। দেখতে না পেয়ে তাতে পা দিতেই মৃত্যু হয় গোপালবাবুর।