বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে আপ শীর্ষ নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে জেল কা জবাব ভোট সে, প্রচারের সুর আরও সপ্তমে চড়াল ঝাড়ু বাহিনী। আজ দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় পোষ্টার লিখে এই প্রচার শুরু করেন। আপ নেতৃত্বের অভিযোগ, দলের বৃদ্ধির কারণে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলবন্দি করতে চায় বিজেপি। ২৫ মে ভোটদানের মাধ্যমে পদ্ম সাফ করে তার প্রতিশোধ তোলা হবে বলে দাবি আপ নেতৃত্বের।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভকে এককাট্টা করতে আজ জেলের জবাব ভোটে প্রচার শুরু হয়। এদিন সকালে দিল্লির করোল বাগ মেট্রো সংলগ্ন এলাকায় এই প্রচারাভিযান শুরু হয় শেলি ওবেরয়ের নেতৃত্বে। তাঁর দাবি, মোদি সরকারের একনায়কতন্ত্র এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দেশের আম জনতা। তিনি বলেন, "বিজেপির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। দিল্লির জনতা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। যেভাবে বিরোধী দল এবং সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে, তার বিরুদ্ধে বীতশ্রদ্ধ দিল্লিবাসী। বিরোধীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার এবং গণতন্ত্র ও সংবিধান যেভাবে অবমাননা করা হয়েছে তার বদলা নিতে প্রস্তুত ভোটাররা। মানুষ এবার স্বতঃস্ফূর্ত এবং শাসকদলকে দায়ী করতে প্রস্তুত। সাধারণ মানুষ তাঁদের ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।" তিনি জানান, "দিল্লির সমস্ত বাজারে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছে আপ। আজ আমরা করোল বাগে এসেছি সাধারণ মানুষের সমর্থন নিতে। এবার দিল্লির ৪ আসনে লড়াই করছে আপ। ৩টিতে কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোটের।" করোল বাগে একটি বড় পোষ্টার দেয় আপ। সেখানে লেখা আমি কেজরিওয়ালের পাশে। সেই পোষ্টারে স্বাক্ষর করেন আম জনতা।
এদিকে, দিল্লির মেয়র নির্বাচন নিয়ে এখনও জটিলতা অব্যাহত। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের ফাইল পৌঁছয়নি উপরাজ্যপালের টেবিলে। নতুন করে ফের আবেদন পাঠানো হবে রাজ নিবাসে। মুখ্য সচিব এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর মারফৎ সেটি পাস হওয়ার পর পৌঁছবে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে। গত এপ্রিলে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ না করায়, মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। জেলে থাকার কারণে মতামত দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শেলি ওবেরয় এবং অ্যালে মহম্মদ ইকবাল।