ভারতে সোনার দাম আবারও নিম্নমুখী হল। বৃহস্পতিবার স্বর্ণ ও রুপার দামে সামান্য পুনরুদ্ধার দেখা গেলেও সপ্তাহের শেষ ভাগে সেই গতি ধরে রাখতে পারেনি মূল্যবান ধাতুগুলি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে তীব্র ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। অক্টোবরের শুরুতে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানো সোনা নভেম্বর মাসে ক্রমশ ঠাণ্ডা হতে থাকে।
2
10
মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সোনার দাম প্রায় ০.৩০% কমে দাঁড়ায় ১০ গ্রামে ১,২৬,৩৬৬ টাকা। রুপাও একই পথ অনুসরণ করে ০.৬৯% কমে কেজি প্রতি ১,৬১,৩৫০ টাকা-এ নেমে আসে।
3
10
দুই ধাতুর দামই কিছুটা বেড়েছিল। সেখান থেকে হঠাৎ ফের নিম্নমুখী হওয়া বাজারে অস্থিরতা কতটা প্রবল তা স্পষ্ট করে। বিনিয়োগকারী ও ট্রেডাররা বর্তমানে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করছেন।
4
10
সপ্তাহের মধ্যভাগে সোনা–রুপার দামে যে বৃদ্ধি দেখা গেছে তা মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের শক্তিশালী মনোভাবের ফল। গত কয়েক দিনে বুলিয়ন মার্কেটে দ্রুত গতি দেখা গেছে।
5
10
সোনা ও রুপা তিন সপ্তাহের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে রুপার দাম তো প্রায় রেকর্ড স্পর্শ করেছিল।
6
10
মার্কিন সরকার দ্রুত পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে—এমন প্রত্যাশা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে ব্যবসায়ীরা। এসব তথ্য যদি দুর্বল আসে, তাহলে ডিসেম্বরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও জোরদার হতে পারে।
7
10
সাম্প্রতিক সময়ে সোনা ও রুপার টেকনিক্যাল চার্ট আরও দৃঢ় হয়েছে। এর ফলে চার্ট–ভিত্তিক স্পেকুলেটর বা স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীরা ‘লং’ পজিশন নেওয়ার প্রবণতা বাড়াচ্ছেন। টেকনিক্যাল শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় বুলিয়ন মার্কেটে নতুনভাবে ক্রয়ের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
8
10
বিশ্ববাজারে সোনা তার গুরুত্বপূর্ণ ৪,০০০ ডলার স্তর ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং বর্তমানে ৪,১৫০ ডলার প্রতি ট্রয় আউন্সের উপরে লেনদেন হচ্ছে। রুপাও ৫০ ডলার সমর্থন ধরে ৫২ ডলার ছাড়িয়ে শক্তিতে রয়েছে।
9
10
এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে, দামের ওঠানামা এখনও বহাল রয়েছে এবং বাকি সপ্তাহেও বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে।
10
10
বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি, মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের অপেক্ষা এবং ফেডের সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে বাজারে অনিশ্চয়তা চরমে। এই কারণে অনেক ট্রেডারই অপেক্ষার কৌশল অবলম্বন করছেন। বড় কোনো দিকনির্দেশক তথ্য না আসা পর্যন্ত সোনা–রুপার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।