আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার সাতসকালে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার শহর শিলিগুড়িতে। ভক্তিনগর থানার আশিঘর আউটপোস্ট এলাকার থারোঘাটিতে উদ্ধার হল স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ। মৃত মহিলার নাম, অনিমা মণ্ডল, বয়স ৪০।মৃত স্বামীর নাম, তপন মণ্ডল, ৫০বছর। দু'জনের বাড়ি ভোলানাথ পাড়া এলাকায়।
শাহু নদীতে পড়েছিল ওই মহিলার মৃতদেহ। অপরদিকে জঙ্গলে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল ওই ব্যক্তির দেহ। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, কিছুই বুঝতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা? নাকি জোড়া খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দম্পতির দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ হবে ময়নাতদন্ত। মহিলার গলাকাটা দেহ, অপরদিকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে আশিঘর আউটপোস্টের পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁদের দুই ছেলে। স্বামী-স্ত্রী ও দুই ছেলে প্রত্যেকেই কর্মরত। সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই দম্পতির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতভর খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাঁদের। অবশেষে আজ সাতসকালে ভয়াবহ দৃশ্যটি চোখে পড়ে সকলের।
প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরবঙ্গে আরও এক জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদায়। শুক্রবার সন্ধেয় ওল্ড মালদার নায়ায়ণপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি ইটভাটা থেকে এক আদিবাসী নাবালিকার (১৩) মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে, একই সময়ে বৈষ্ণবনগর থানার দুই শত বিঘি এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে ৩৫ বছর বয়সি এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। দুই ক্ষেত্রেই উঠেছে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। দেহ দুটি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদিবাসী নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষণপুরের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে শুক্রবার সন্ধেয় উদ্ধার হয়। জানা গেছে বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী বাদনা পরব উৎসবে গিয়েছিল। স্থানীয়দের অনুমান ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে নাবালিকার মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে। অন্যদিকে, বৈষ্ণবনগর থানার চরি–অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই শত বিঘি গ্রামে শুক্রবার সন্ধেয় ভুট্টার ক্ষেত থেকে গলাকাটা অবস্থায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম মৌসুমী মণ্ডল (৩৫)। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অজিত মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমীদেবীর। দুই নাবালক সন্তান রয়েছে পরিবারে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত চারদিন আগে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরোন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে কোনও খোঁজ ছিল না।
স্থানীয় কিছু ছেলে শুক্রবার সন্ধেয় ভুট্টার ক্ষেতে ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। এদিকে, রায়গঞ্জে সমকামী সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে বান্ধবীর গলার নলি কাটার অভিযোগ উঠেছে আরেক তরুণীর বিরুদ্ধে। আহত ওই তরুণী রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। অভিযোগ, গভীর রাতে শ্মশান চত্বরে এই ঘটনা ঘটায় অপর বান্ধবী অষ্টমী সাহা। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
