আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজস্থানে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে৷ ঘটনাটি প্রতাপগড় জেলার এক গ্রামে ঘটে। জানা গিয়েছে, এলাকায়  সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে স্থানীয় একদল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। কিন্তু পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে তারা আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের, বিশেষ করে এলাকার কিছু মহিলাদের আক্রমণের মুখে পড়ে। এলাকাবাসী পুলিশের উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালায়, এমনকী চোখে মরিচের গুঁড়ো ছুড়ে মারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের কোটডি এলাকার অন্তর্গত দিবালা গ্রামে। সেখানে সম্প্রতি একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী পৌঁছতেই ঘটে সংঘর্ষ। খবর অনুযায়ী, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হঠাৎ করে প্রবল উত্তেজনা ও হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক পুলিশ বাহিনীর সদস্যকে এক গ্রামবাসী লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। এই দেখে আরেকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ মায়ের সঙ্গে স্কুল যাওয়ার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কিশোরী, মেয়ের মৃতদেহের পাশে মায়ের অসহায় গোঙানি,

ঘটনার প্রেক্ষিতে, প্রতাপগড়ের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট বি আদিত্য জানান, এই হিংসার পেছনে কয়েক দিন আগে এক যুবকের মৃত্যু-সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, বিপক্ষ গোষ্ঠীই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী। সেই কারণে মৃত যুবকের দ্বাদশা অনুষ্ঠানে, তাঁর আত্মীয়স্বজনরা জড়ো হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করে লাঠি, পাথর ও মরিচের গুঁড়া ছোড়া হয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, কন্ট্রোল রুম থেকে সতর্কতা পাওয়ার পর ছয়জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে তাঁরা স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন। শুধু তাই নয় , জানা গিয়েছে তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের প্রথমে আর্নোড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে দুজন কনস্টেবলকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ দুটি বাইকের তুমুল প্রেম! কোনওভাবেই আলাদা করতে পারলেননা স্থানীয়রা, তারপর যা হল জানলে চোখ কপালে উঠবে ...

ঘটনার জেরে এসপি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নয়জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি জানান হয়েছে এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত জোরকদমে জারি রয়েছে৷ 

এই ঘটনার পেছনে অভিযুক্তদের অন্য কোনও মদত ছিল কিনা স্থানীয় প্রশাসন সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছে৷

আরও পড়ুনঃ দুই সন্তানের বাবা প্রেমিক! তবুও বিয়ে করতে জোরাজুরি প্রেমিকার, চাপ সামলাতে না পেরে প্রেমিকার দেহ সাত টুকরো করলেন