আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহমেদাবাদে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে খোখরায়। খবর অনুযায়ী, নবম শ্রেণির এক ছাত্র তাঁর সিনিয়র, দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে হত্যা করেছে। এই ঘটনা বুধবার একটি স্কুলে ঘটে। ঘটনার জেরে চরম উত্তেজনা ও সহিংসতা দেখা দেয় স্কুল ঘিরে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষজন স্কুল চত্বরে প্রবেশ করে ফার্নিচার ও কাচ ভেঙে দেয়। এমনকী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের মারধরও করে। ইতিমধ্যেই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। 

এহেন দু্র্ঘটনার প্রেক্ষিতে গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী প্রফুল পাঁশেরিয়া জানান, অভিযুক্ত তরুণকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'নবম শ্রেণির এক ছাত্র দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে হত্যা করেছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং একইসঙ্গে সভ্য সমাজের জন্য একটি লাল সংকেত।' তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনী বাড়ানো হয়। সহিংস জনতা এবং অভিভাবকেরা মিলে পুলিশের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি পুলিশ ভ্যান প্রায় উল্টে দেওয়া হয়। শেষমেশ পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা ক্রমে বাড়তে থাকায় স্থানীয় সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এর জেরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।

আরও পড়ুনঃ তিমির মতো আকার, হাঙ্গরের মতো দাঁত! অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রে আতঙ্ক ছড়ানো ভয়ঙ্কর প্রাণীর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা...

জানা গিয়েছে, প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে একে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে একাধিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজও।

খবর পেয়ে একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এর পরে উত্তেজনা রুখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নিহত ও অভিযুক্ত ছাত্রের মধ্যে যে পূর্ব বিরোধ ছিল তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ছিল। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই।

জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে নিহত ছাত্রের এক তুতো ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। সেখান থেকেই মূলত এই বিরোধের সূত্রপাত। অভিভাবকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ছাত্রের সহিংস আচরণের ইতিহাস রয়েছে এবং তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাওয়া বোনের সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে ভাই! নিজের মেয়েকে চিনতে পেরে এ কী করলেন মা!...

তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, যখন আহত ছাত্র স্কুল চত্বরে পড়ে ছিলেন, তখন কোনও শিক্ষক বা কর্মী তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেন নি। শেষ পর্যন্ত অভিভাবকরাই একটি অটোরিকশা করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঘটনার জেরে জেলাশিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিস পাঠিয়েছেন এবং পুরো ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন ও সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ স্কুলেই রক্তবন্যা! সিনিয়িরে সঙ্গে ক্ষণিকের বচসায় নবম শ্রেণির ছাত্র যা করল, তোলপাড় মোদির রাজ্য