আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসামে সকালে হাঁটতে বেরিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হলেন তিন মহিলা। আসামের কামরূপ জেলার বামুণিগাঁও রেলস্টেশনের কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে৷ আচমকা ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন মহিলা। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোরবেলা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। এমন সময় তাঁরা রেললাইন পার হতে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই আচমকা একটি ট্রেন এসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনা ঘিরে তোলপাড়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলারা হলেন রুমি দাস (৫৫), কোরবি মালু (৬০) এবং উত্তরা দাস (৬০)। তাঁরা বোকো এলাকার একটি গ্রাম থেকে এসেছিলেন। জানা যায় এলাকাটি রেললাইন থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে অবস্থিত।

দুর্ঘটনা ঘটে সকাল প্রায় ৫টা ২৫ মিনিট নাগাদ। খবর অনুযায়ী তখন ওই স্থানে একসঙ্গে দুটি ট্রেন চলাচল করছিল। একটি এনএমজি পণ্যবাহী ট্রেন এবং অপরটি গুয়াহাটি-গামী পুরী এক্সপ্রেস। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মহিলারা একটির হর্ণ শুনে অন্য লাইনে চলে যান। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেননি যে উল্টো দিক থেকে আরও একটি ট্রেন আসছিল। ফলে দ্রুতগামী পুরী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তাঁরা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, যেহেতু পুরী এক্সপ্রেসটি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন দ্বারা চালিত এবং উচ্চ গতিতে চলছিল, তাই সেটি হর্ণ দেয়নি। এ কারণেই ওই তিন মহিলা বুঝতে পারেননি যে ট্রেনটি পিছন দিক থেকে আসছে।

আরও পড়ুনঃ ট্রেনে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়ি! নাগরিক দায়িত্বহীনতার দৃশ্য স্পষ্ট, ভিডিও ভাইরালে চমকে উঠেছে সবাই ...

ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (Northeast Frontier Railway)-এর মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিনজল কিশোর শর্মা জানান, কামাখ্যা-গোলপাড়া রুটের বামুণিগাঁও ও বোকো স্টেশনের মধ্যবর্তী লাইনে ১৫৬৪৩ নম্বর ট্রেনের নিচে পড়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুনঃ প্রবল বর্ষার তাণ্ডব! হিমাচলে জনজীবন ক্রমে বিপর্যস্ত, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ২৬১, বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা

খবর পেয়ে স্থানীয় বোকো থানার পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। রেল কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনাপ্রবণ রুটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, গত দুই দশকে অন্তত ২০ জন এই ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

বর্তমানে রেল কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, অনুমোদিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও রেললাইন পার হওয়া বা রেললাইনের আশপাশে না ঘোরার জন্য। যাতে ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়।

আরও পড়ুনঃ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, ধনখড়ের জায়গায় কাকে চাইছে পদ্মশিবির?