আজকাল ওয়েবডেস্ক: রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো সুইংয়ে তিনি পাক ক্রিকেটারদের প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন। তিনি ইরফান পাঠান।
তাঁর দাদা আবার বিশাল সব ছক্কা হাঁকাতে পারেন। আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরিও করেছিলেন। ২০১১ সালে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে শচীন তেণ্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলেন ওয়াংখেড়েতে। তিনি ইউসুফ পাঠান।
ইউসুফ আগেই রাজনীতিতে পা রেখেছেন। তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাংসদ হয়েছেন এক সময়ের বিগ হিটার। বহরমপুর লোকসভা আসনে দাঁড়িয়ে তিনি কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়েছেন।
এবার কি তবে দাদার দেখানো পথে হাঁটা লাগাবেন ইরফান? এক সাক্ষাৎকারে তিনি সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে ইরফান পাঠানকে জিজ্ঞাসা করা হয়। সেই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ''আপনার কী মনে হয়? আমার কি যোগ দেওয়া উচিত?''
আরও পড়ুন: যুবভারতীর পর আগরতলাতেও ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল, দিকে দিকে জ্বলে উঠছে মশাল
তার পরে পাঠান পরিষ্কার করে দেন,''আমি নিজের জীবনে যে কাজ করি, বর্তমানে হোক বা ভবিষ্যতে, পার্থক্য গড়ার জন্যই করব। যদি পার্থক্য গড়তে না পারি, তাহলে করবই না।''

পাঠান ২৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ১২০টি ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। ৩০১টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক তিনি। ২০২০ সালে পাঠান অবসর গ্রহণ করেন।
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে পাঠানের। তাঁর বোলিং অ্যাকশন দেখে অনেকেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলার ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে তুলনা করা হত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের করাচি টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাঠান। ভারতীয় ক্রিকেটে গুরু গ্রেগ অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন পাঠান। ভারতীয় ক্রিকেটে গুরু গ্রেগ অধ্যায় এখনও জীবন্ত।
গ্রেগ চ্যাপেল এই দেশে একইসঙ্গে নিন্দিত এবং অপছন্দের এক ব্যক্তিত্ব। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও গুরু গ্রেগ পর্ব সবারই জানা।
অনেক বলে থাকেন, ইরফান পাঠানকে অলরাউন্ডার বানাতে গিয়ে গ্রেগ চ্যাপেল তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেন রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো সুইং। যদিও ইরফান পাঠান তা স্বীকার করেন না। পাঠানের ব্যাটের হাত ভাল ছিল। গ্রেগ চ্যাপেল তাঁকে ওপেন করতে পাঠিয়েছিলেন।
গ্রেগ চ্যাপেল সম্পর্কে এবার মুখ খুললেন পাঠান। তিনি বলেন, ''সিনিয়র ও জুনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে একই ধরনের ব্যবহার করতেন। সবাইকেই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন। আমাদের থেকেও বেশি আগ্রাসী ছিলেন। পারফর্ম করতে না পারলে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে, সবার সামনেই বলতেন। আমার মনে হয়েছিল, এই ধরনের নীতি খুবই কড়া। চ্যাপেলের সঙ্গে আমি আলাদা করে কথাও বলেছিলাম।''
![]()
কী কথা হয়েছিল চ্যাপেলের সঙ্গে? পাঠান বলেন, ''কেউ পারফর্ম করতে না পারলে এমনিতেই মুষড়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়। সেটাই আবার বললে দলের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। প্রথমদিকে হতাশ হয়েছিলেন চ্যাপেল। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন আমিই ঠিক।''
পাঠান আরও বলেন, ''আমি যদি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা বা ইংল্যান্ডে কোচ হিসেবে যাই এবং সেই দেশের সংস্কৃতি না মেনে চলি, তাহলে ওই দেশের খেলোয়াড়রা কি আমাকে মেনে নেবেন? গ্রেগ চ্যাপেলের উদ্দেশ্যটা ঠিক ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি আমদানি করতে চেয়েছিলেন তিনি। উনি চেয়েছিলেন আমরা হার্ড ক্রিকেট খেলি। তবে বিষয়টা অন্যভাবেও উনি সামলাতে পারতেন।''
আরও পড়ুন: ডার্বি জয়ের আনন্দে গা ভাসাতে চান না, ডিয়ামানটাকোসকে নিয়ে রহস্য ফাঁস অস্কারের...
