আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে প্রকাশ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন শাসকদল বিজেপির দুই বিধায়ক। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। জানা গিয়েছে, বিধানসভার ভিতরে তখন আলোচনা চলছিল ‘ভিশন ২০৪৭’ নিয়ে। হঠাৎই, আলোচনার সময় মথুরার বিজেপি বিধায়ক রাজেশ চৌধুরী এবং বারাণসীর বিধায়ক সৌরভ শ্রীবাস্তবের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, অন্য সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমনকি কয়েকজন বিধায়ক রাজেশ চৌধুরীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, যিনি দাঁড়িয়ে থেকে সামনের সারিতে বসা সৌরভ শ্রীবাস্তবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সূত্রের দাবি, শাসকদলের পক্ষ থেকে কে বক্তব্য রাখবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 14, 2025

অভিযোগ, চৌধুরী দাবি করেন যে বারাণসীর বিধায়ক নাকি স্পিকারের কাছে তাঁর নাম প্রস্তাব করছেন না। ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখেন, বিজেপি এমন নেতাদেরই ‘প্রোমোট’ করে যাঁরা ‘অসভ্য ব্যবহার’ করেন এবং ‘অশ্রাব্য ভাষা’ ব্যবহার করেন। এর পাল্টা জবাবে রাজেশ চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনার স্ত্রীর সম্মানহানি নিয়ে যখন একজন মৌলানা কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন, তখন কেন আপনি চুপ ছিলেন?’ নাম না করে রাজেশ চৌধুরী ইঙ্গিত করেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌলানা সাজিদ রশিদির দিকে। গত মাসে এক টেলিভিশন বিতর্কে মাথা না ঢেকে একটি মসজিদে যাওয়ার কারণে তিনি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদবকে সমালোচনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: আচমকাই লাল হয়ে যাচ্ছে চোখ, ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের, সংক্রামক ‘আই ফ্লু’ বিপজ্জনক নয় তো?

রাজেশ চৌধুরী বলেন, ‘যদি লজ্জার লেশমাত্রও বাকি থাকে, তবে ওই মৌলবীর জবাব দিন যিনি আপনার পরিবারের সম্মানকে অপমান করেছেন। আমরা ডিম্পলজির পাশে আছি’। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে দিল্লি-ভোপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এক বিজেপি বিধায়কের কাণ্ডে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই ট্রেনে উঠে এক বৃদ্ধের সঙ্গে জায়গা বদল করতে চেয়েছিলেন ওই বিধায়ক। বৃদ্ধ রাজি না হতেই, মারপিট প্রকাশ্যে। বিজেপি বিধায়কের কাণ্ডে ছিঃ ছিঃ পড়ে যায় চতুর্দিকে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বিধায়ক বিজেপির রাজীব সিং তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে কামরার পিছনের দিকে সিট ছিল বিধায়কের।

পরিবারের বাকিদের সিট ছিল কিছুটা সামনের দিকে। বিধায়ক পরিবারের বাকিদের সঙ্গে সামনে বসতে চান। বৃদ্ধ তাতে রাজি হননি। সেখানে বাকবিতণ্ডা হলেও বিষয়টি মিটে যায়নি। ঝাঁসি থেকে আচমকা একগুচ্ছ বিজেপি নেতার অনুগামী ট্রেনে উঠে ওই বৃদ্ধকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একগুচ্ছ লোকজন ওই ব্যক্তিকে কিল-ঘুষি মারছে, জুতো খুলেও মারতে দেখা যায়।ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর আসে, রেলওয়ে পুলিশ সুপার (ঝাঁসি) বিপুল কুমার শ্রীবাস্তব নিশ্চিত করেছেন যে আসন পরিবর্তন নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।