আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীপাবলিতে দেশের মানুষের জন্য কেন্দ্রের বড় উপহার হবে 'নেক্সট জেনারেশন জিএসটি'। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এমনই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন মোদি। সরকারি সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরে দুই দিনের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হবে। সেখানেই কর সংস্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই আলোচনায় ১২ শতাংশ জিএসটি স্ল্যাব বাতিল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় জিএসটি হারের যৌক্তিকীকরণ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর করের হার সমন্বয়-সহ বড় পরিবর্তনগুলি নিয়ে আলোকপাত করা হবে।
বর্তমানে, জিএসটি হার পাঁচটি প্রধান স্ল্যাবে বিভক্ত। শূন্য থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে ভাগ করা রয়েছে এই পাঁচ স্ল্যাব। এই পাঁচ স্ল্যাব হল- ০ শতাংশ, ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ। ১২ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ স্ল্যাবগুলি অনেক পণ্য ও পরিষেবার জন্য আদর্শ হার হিসাবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে প্রায় ২১ শতাংশ পণ্যের উপর রয়েছে ৫ শতাংশ কর। ১৯ শতাংশ পণ্যে ১২ শতাংশ কর এবং ৪৪ শতাংশ পণ্যে ১৮ শতাংশ কর রয়েছে।
আসন্ন পরিবর্তনের অংশ হিসাবে, সরকার ১২ শতাংশ স্ল্যাবটি বাতিল করে ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের শ্রেণিতে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমা-সহ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিকে আরও সাশ্রয়ী করা, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পণ্যের উপর কর হ্রাস করাই এই বদলের মূল উদ্দেশ্য বলে সরকারি সূত্রে খবর।
প্রধানমন্ত্রী মোদী লালাকেল্লার ভাষণ থেকে বলেছেন, "এটা দীপাবলির উপহার হবে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় পরিষেবার উপর কর উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। এর ফলে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প লাভবান হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলি সস্তা হবে। এই পদক্ষেপ অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করবে।"
#WATCH | Delhi: Prime Minister Narendra Modi says, "This Diwali, I am going to make it a double Diwali for you... Over the past eight years, we have undertaken a major reform in GST... We are bringing next-generation GST reforms. This will reduce the tax burden across the… pic.twitter.com/2hAPP0CFtH
— ANI (@ANI)Tweet by @ANI
প্রস্তাবিত সংস্কারকে ভোগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নতিকে উৎসাহিত করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, জিএসটি হার কমানোর ফলে সরকারি রাজস্ব সাময়িকভাবে হ্রাস পেতে পারে, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিক্রয় বৃদ্ধি এবং সরলীকৃত কর ব্যবস্থার ফলে বিষয়টি ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।
শিল্প সংস্থা এবং রাজ্য সরকারগুলির জিএসটি কাঠামো সরলীকরণ এবং করের বোঝা কমানোর দীর্ঘস্থায়ী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে, দীপাবলির আগে সংস্কারগুলি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
