আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বই শহরে প্রতিদিনের মতো অফিস যাচ্ছিলেন বিজ্ঞাপন সংস্থার পেশাদার অদিতি গানভির। ভিড়, যানজট আর গরম – এগুলোতে তিনি অভ্যস্ত। কিন্তু ওই দিনের যাত্রা যেন হঠাৎ করেই পরিণত হল এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতায়, যা একদিকে তাঁকে বিভ্রান্ত করেছে, অন্যদিকে খানিকটা হাসিও এনে দিয়েছে। ঘটনা এমন—অদিতি তাঁর অফিসের থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে পৌঁছেছেন, ঠিক তখনই অটোরিকশাচালক হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দিলেন। বিস্মিত যাত্রীকে তিনি বললেন, "ম্যাডাম, এত দূর আর যেতে পারব না"। কোনও তর্ক-বিতর্ক বা যুক্তি না দিয়েই তিনি যাত্রা মাঝপথে শেষ করে দিলেন।
এরপর শুরু হল আরও অদ্ভুত পর্ব। যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার পর অটোচালক পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লেন – "এত দূরে চাকরি নিলেন কেন?" যেন এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় কৌতূহল। শুধু প্রশ্ন করেই থেমে থাকেননি, অদিতির আনুমানিক বেতনও নিজে হিসেব করতে শুরু করেন। শেষে আফসোস করে জানান, এই রাইড তার একেবারেই নেওয়া উচিত ছিল না।
আরও পড়ুন: অণ্ডকোষ এবং উত্থিত লিঙ্গের মতো দেখতে এই দুর্গ হোক এবারের পুজোর ডেস্টিনেশন
অদিতি তাঁর এই অভিজ্ঞতা লিঙ্কডইনে শেয়ার করেন। পোস্টে তিনি লেখেন— "কখনও কখনও আপনার যাত্রা অন্যের জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে, আর তারা মাঝপথে আপনাকে ফেলে চলে যাবে। তাতে সমস্যা নেই—শুধু ১ স্টার দিয়ে এগিয়ে যান।" পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। বহু মানুষ এ ধরনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পান, কেউ কেউ কেবল মজা পান, আবার অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন। একজন মন্তব্য করেন— "যাত্রীকে যদি এভাবে নামিয়ে দিতে পারেন, ভাবুন তো, যদি তাঁর নিজের মেয়ে বা স্ত্রী হতো, তখনও কি একই কাজ করতেন?"
আরেকজন খানিক ব্যঙ্গ করে লিখেছেন— "আমি নিশ্চিত, আপনি আসলে শুধু অটোচালকের কথা বলছেন না। ওঁর এই আচরণ যেন জীবনের সেই দর্শন—‘যখন আমার মতো চলছে না, আমি মাঝপথেই ছেড়ে দেব’—এর উদাহরণ।” সবচেয়ে মজার প্রতিক্রিয়াটি ছিল— "১৮ কিমি নিবেদনের পর ১ কিমি না চাইতেই মহিলা যাত্রীর জীবনদর্শনের চাহিদা মেটালেন—ভারতের অটো যাত্রা আসলেই ফুল-স্ট্যাক অভিজ্ঞতা দেয়।" মুম্বই শহরের দ্রুতগতি আর অগাধ ব্যস্ততার ভিড়ে এই ছোট্ট ঘটনা মনে করিয়ে দিল—যাত্রা শুধু গন্তব্যে পৌঁছনো নয়, মাঝপথেও কখনও কখনও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, যা আপনার নিজের পছন্দকেও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
