আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ কেরিয়ার শুরু করেছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু পৃথ্বী শ এখন বিপথগামী। এক সময় ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটার হিসাবে ধরা হত তাঁকে। দেশের হয়ে ১২টা ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু নিজের খেলা ধরে রাখতে পারেননি। বার বার তাঁর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। গত মরসুমে বাদ পড়তে হয়েছে মুম্বইয়ের রঞ্জি দল থেকেও। পৃথ্বীর এমন পরিণতিতে হতাশ রোহিত শর্মার ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড। পৃথ্বী কী করলে ফিরে আসতে পারেন, তা–ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।


এক ইন্টারভিউয়ে দীনেশ বলেছেন, ‘পৃথ্বীকে ছোটবেলা থেকে দেখছি। ১০ বছর বয়স ছিল তখন ওর। খুব প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল। তবে প্রত্যেকের এগোনোর পথ আলাদা। এটা ব্যক্তিগত। ওর সমস্যাটা ঠিক কী, বলতে পারব না। তবে পৃথ্বী এখনও খুব প্রতিভাবান ক্রিকেটার। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভুল পথে হাঁটছে। ওর ক্রিকেটই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ রোহিতের ছোটবেলার কোচ মনে করেন চেষ্টা করলে এখনও ক্রিকেটের মূল স্রোতে ফিরতে পারবেন পৃথ্বী। পরামর্শ দিয়ে দীনেশ বলেছেন, ‘পৃথ্বীর মতো এক জন ব্যাটারের উচিত নিজের খেলায় গুরুত্ব দেওয়া। আগে যে ভাবে খেলত, সে ভাবেই ওর খেলা উচিত। আমাদের বেশ কিছু দুর্দান্ত ব্যাটার রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বৈভব সূর্যবংশী, আয়ূষ মাত্রের কথা বলতে পারি। এরা ভবিষ্যতের ক্রিকেটার। একের পর এক ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। এটাই ভারতীয় ক্রিকেটের শক্তি।’


এটা ঘটনা, প্রথম টেস্টেই শতরান করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নজর কেড়েছিলেন পৃথ্বী। পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। তার পর ক্রমশ অবনতি হয়েছে তাঁর পারফরম্যান্সের। আইপিএলের গত নিলামে কোনও দল তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। আনসোল্ড ছিলেন তিনি। 

এদিকে, সঞ্জু স্যামসন নাকি রাজস্থান ছাড়তে চান। আর এরই মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠান ‘কুট্টি স্টোরিজ উইথ অ্যাশ’–এ রাজস্থান রয়্যালসকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সঞ্জু।


এটা ঘটনা, ক্রিকেট মহলে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন সঞ্জু। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আর আইপিএল খেলতে চাইছেন না তিনি। তাঁকে ছাড়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। যদিও চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দল সঞ্জুকে পেতে আগ্রহী। এই সবের মধ্যেই অশ্বিনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সঞ্জু। নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ক্রিকেট নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। তাতে আমার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়েছে। ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও পথ নেই। আমার বিশ্বাস নানা ভাবে সাফল্য আসতে পারে। তাই দলের কেউ নতুন কিছু চেষ্টা করার কথা বললে, তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। সাফল্যের লক্ষ্যে পরীক্ষা–নিরীক্ষাগুলো আমার বেশ দারুণ লাগে।’‌ 

এরপরই সঞ্জু জানিয়েছেন, শিমরন হেটমেয়ারের মতো ক্রিকেটারকে যে কোনও অধিনায়কই দলে চাইবেন। তিনি বলেছেন, ‘রাজস্থানে দারুণ সব ক্রিকেটারদের পেয়েছি সতীর্থ হিসাবে। তবে হেটমেয়ার এক দম আলাদা। রাত ৮টায় ম্যাচ থাকলে ও বিকাল ৫টায় ঘুম থেকে ওঠে। টিম মিটিংয়ের সময় আবার বসে বসে ঘুমোয়। অথচ মাঠে নামলে অন্য রকম। দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রানগুলো করবে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়বে। এ ভাবেও যদি কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে ক্ষতি কী?’