বিয়ে মানেই শুধু ভালবাসা বা একসঙ্গে থাকা নয়, এক গভীর আবেগঘন ও আস্থাপূর্ণ সম্পর্ক, যার ভিত গড়ে ওঠে পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস, একে উপরের পাশে থাকার ওপর। কিন্তু অনেক সময় না জেনে বা আবেগের বশে আমরা এমন কিছু ব্যক্তিগত বিষয় অন্যদের বলে ফেলি, যা আমাদের সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছু গোপন কথা থাকে যা বন্ধ দরজার বাইরে গেলে দাম্পত্যে সমস্যা তৈরি হতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, সুখী দাম্পত্যে কিছু ‘গোপন কথা’ শুধু দম্পতিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। যা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিলে সম্পর্কে ভাঙন বা দূরত্ব আসতে পারে। তেমনই পাঁচটি বিষয় যা আপনার সঙ্গী বা বৈবাহিক সম্পর্কের গোপন অংশ হিসেবে কাউকে বলা উচিত নয়, জেনে নিন। 

* সঙ্গীর ব্যক্তিগত দুর্বলতা বা ত্রুটিঃ আপনার সঙ্গীর যদি কোনও দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা, কোনও অভ্যাসগত সমস্যা বা অতীতের ভয় থেকে যায় তাহলে তা আপনাকে হয়তো মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু সেটি অন্য কাউকে বললে তা আপনার সঙ্গীর আত্মসম্মানে আঘাত করে এবং বিশ্বাসঘাতকতার মতো মনে হতে পারে। মনোবিজ্ঞান বলছে: এভাবে গোপন কথা ফাঁস 'আবেগগত নিরাপত্তা' নষ্ট হয়। যার ফলে সঙ্গী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ রাতে একেবারেই নয়! যৌন মিলনের আদর্শ সময় কোনটা? কোন সময়েই বা বীর্য ভাল উৎপন্ন হয়? কী বলছে আয়ুর্বেদ জেনে নিন  

* ঝগড়া বা সম্পর্কের টানাপোড়েনঃ সাধারণ ঝগড়া বা মতবিরোধ দাম্পত্যে স্বাভাবিক। কিন্তু সেই তর্ক-বিতর্কের খুঁটিনাটি যদি বন্ধু বা পরিবারের কাছে বলেন, তাহলে তারা একপাক্ষিক ধারণা তৈরি করতে পারেন এবং সঙ্গীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে পারেন। এমনকী যদি পরে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায় তাহলে তার প্রভাব থেকে যেতে পারে। মনোবিজ্ঞানের মতে, এই আচরণ 'বাহ্যিক পক্ষপাতিত্ব' তৈরি করে। ফলে ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে।

* সঙ্গীর অর্থনৈতিক অবস্থা বা টাকার হিসাবঃ সঙ্গীর আয়, খরচ, দেনা বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য খুবই ব্যক্তিগত। এই তথ্য কাউকে বললে তা সঙ্গীর অপমানের অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে পারে। মনোবিজ্ঞান বলছে, অর্থনৈতিক গোপনীতা রক্ষা করা মানেই সঙ্গীর ওপর আস্থা রাখা ও তাকে সম্মান করা। তাই এই বিষয়টি নজরে রাখা উচিত। 

আরও পড়ুনঃ নিয়মিত সঙ্গমে বাড়ে আয়ু! জানেন সপ্তাহে কত বার যৌন মিলনে লিপ্ত হলে কমে মৃত্যুর ঝুঁকি?

* ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বা শোওয়ার ঘরের গল্পঃ দাম্পত্য জীবনের সবচেয়ে গোপন অংশ হল শারীরিক সম্পর্ক। মজার ছলে হোক বা হতাশার বশে, এই বিষয়ে আলোচনা বা রসিকতা করা উচিত নয়। এতে যেমন আপনার সঙ্গীর গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়, তেমনই সম্পর্কে অবিশ্বাস জন্ম নিতে পারে। 

* সঙ্গীর গোপন কথাঃ আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে তার জীবনের কোনও গোপন কথা  যেমন অতীতের ট্রমা, পারিবারিক সমস্যা, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত তথ্য বা গোপন ইচ্ছা বিশ্বাস করে বলেন, সেটি কখনোই অন্য কাউকে বলা উচিত নয়।