আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঁচ টেস্টের সিরিজে ৭৫৪ রান। ডন ব্র্যাডম্যানের পরেই অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ টেস্টের সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান শুভমান গিলেরই। তবুও সদ্য প্রকাশিত আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের তালিকায় নয় থেকে ১৩ নম্বরে চলে গেলেন ভারতীয় অধিনায়ক।
ওভাল টেস্টের আগে ব্যাটারদের তালিকায় নয় নম্বরে ছিলেন গিল। আসল ঘটনা হল, ওভাল টেস্টে রান পাননি গিল। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন মাত্র ৩২ রান। তার কারণেই তিনি চার ধাপ নেমে গেলেন।
ভারত অধিনায়ককে এবার অন্য দলের হয়ে ক্যাপ্টেন্সি করতে দেখা যাবে। আসন্ন দলীপ ট্রফিতে উত্তরাঞ্চলের ক্যাপ্টেন গিল। দলীপ ট্রফির বল গড়াচ্ছে ২৮ আগস্ট থেকে। বেঙ্গালুরুতে হবে এই টুর্নামেন্ট।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের বাইরেও কোহলির মধ্যে রয়েছে এই চারটি গুণ, এত দিনে প্রকাশ্যে আনলেন মাহি
উত্তরাঞ্চল দলে রয়েছেন বেশ কয়েকটি পরিচিত নাম। অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, আয়ূষ বাদোনি এবং অংশুল কম্বোজের মতো খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন উত্তরাঞ্চল দলে। দলের গভীরতা বাড়ানোর জন্য সাত জন স্ট্যান্ড বাই প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে শুভমান গিলের প্রথম সফরটা বেশ ভালই গিয়েছে। নিজে রানের পর রান করেছেন, সেই সঙ্গে সিরিজ ড্র করে ফিরেছেন। ওভালে দেখা গিয়েছে সিরাজ ম্যাজিক। হায়দরাবাদির আগুনে স্পেলে ভারত সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল।
চতুর্থ দিনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ এদিন প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দিলেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের শেষটাও হল তাঁরই হাতে।
ওভালে জেতার জন্য ৩৫ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ভারতের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল চার-চারটি উইকেট। ভারতের সুযোগ কম। বরং ইংল্যান্ড অ্যাডভান্টেজে বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। কিন্তু মহম্মদ সিরাজ অন্যকিছু হয়তো ভেবে রেখেছিলেন। দিনটা তাঁর। ওভাল টেস্টে লেখা থাকবে তাঁর নাম। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা শুরুতেই রান দিয়ে দিলেন একগাদা। চাপ বাড়ল ভারতের উপরে। সিরাজ বল হাতে প্রথমে ফেরালেন স্মিথকে। তার পরে ওভারটন। অন্যদিকে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অ্যাটকিনসন। তিনি মারমুখী। এদিকে কৃষ্ণর ইয়র্কারে উইকেট ভাঙল টংয়ের। অ্যাটকিনসনের উইকেট ভেঙে ব্রিটিশ-ভূমে নতুন এক রূপকথা লিখলেন সিরাজ।
কাজটা খুবই কঠিন ছিল ভারতের জন্য। ২-১-এ পিছিয়ে থেকে ওভালে খেলতে এসেছিল শুভমান গিলের অপেক্ষাকৃত নবীন দল। তার উপরে মোক্ষম সময়ে সরে যান জশপ্রীত বুমরাহ। রক্তাল্পতা ভারতের বোলিং লাইন আপে। সেই বোলিংয়ের লাইটহাউজ একজনই। তিনি মহম্মদ সিরাজ। শুভমান গিল অবশ্য প্রশংসিত হয়েছেন তাঁর ব্যাটিংয়ের জন্য। তাঁর নেতৃত্ব প্রসঙ্গে প্রাক্তনরা বলছেন, ভাল ক্যাপ্টেন হয়ে ওঠার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার শুভমান গিলের।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল তারকা রশিদের প্রেরণা ছিলেন, ইজরায়েলের গুলিতে অকালেই চলে গেলেন 'প্যালেস্তাইনের পেলে'
