আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মাঝমাঠ শাসন করছেন মহম্মদ রশিদ। প্যালেস্তাইন জাতীয় দলের ফুটবলার তিনি। লাল-হলুদ সমর্থকরা রশিদকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন।

ডুরান্ত কাপের দুটো ম্যাচে তিনি নেমেছেন। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই রশিদের দেশের প্রাক্তন ফুটবলার সুলেমান ওবেইদ ইজরায়েলের গুলিতে প্রয়াত হন।  'প্যালেস্তাইনের পেলে' হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। 

জাতীয় দলের হয়ে রশিদের আত্মপ্রকাশের বহু আগেই সুলেমান ওবেইদ দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেন। প্যালেস্তাইনের ফুটবলে কিংবদন্তি ছিলেন সুলেমান ওবেইদ। বুধবার প্যালেস্তাইনের পেলে অকালেই চলে গেলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে প্যালেস্তাইনে। 

আরও পড়ুন: ক্রিকেটের বাইরেও কোহলির মধ্যে রয়েছে এই চারটি গুণ, এত দিনে প্রকাশ্যে আনলেন মাহি

প্যালেস্তাইন ফুটবল সংস্থা  জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী ওবেইদ মানবিক সাহায্যের  জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক সেই সময়েই তাঁকে গুলি করা হয়।

প্যালেস্তাইন জাতীয় দলের হয়ে ১৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন ওবেইদ। ইরাকের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর। সেটা ছিল ২০০৭ সাল। 

আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে 'প্যালেস্তাইনের পেলে' দুটি গোল করেন। প্রথম গোলটি ২০১০ সালে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় গোলটি ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে করেছিলেন। ২০১৩ সালে কাতারের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে শেষবার খেলেছিলেন আল ওবেইদ।

 

একাধিক ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন সময়ে খেলেন তিনি। বিভিন্ন পজিশনে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও তিনি সেন্টার ফরোয়ার্ড, কখনও রাইট উইঙ্গার আবার কখনও রাইট মিডফিল্ডার। 

ওবেইদের ফুটবল জীবন শুরু হয়েছিল গাজার ক্লাব শাবাব আল-শাতি-তে। পরে খেলেন আল-আমারি ক্লাবে। তারকা ফুটবলার হলেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র। মাটির কাছাকাছি এক মানুষ ছিলেন ওবেইদ। তিনি ছিলেন তরুণ ফুটবলারদের প্রেরণা। 

টানা ২২ মাস ধরে ইজরায়েলের হামলা চলছে। এবার বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারালেন দেশের তারকা ফুটবলার। 

আরও পড়ুন: বৈভবের শট থেকে কোনওরকমে বাঁচলেন ক্যামেরাম্যান, ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন তারা