আজকাল ওয়েবডেস্ক: সব বাধা অতিক্রম করে আয়োজনে সবুজ সংকেত মিলেছে। জানা যাচ্ছে, আসন্ন এশিয়া কাপে একই গ্রুপে পড়তে চলেছে ভারত এবং পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিল। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর এই টুর্নামেন্টের আয়োজন অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। তবে সব পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে এখন সেই জট খুলেছে বলে খবর সূত্রের। বিসিসিআই জানিয়েছে, তারা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে প্রস্তুত এবং দুবাই ও আবুধাবিকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যদিও তিনটি ভেন্যুর জন্য এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। তবে দুটি ভেন্যুই ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। এই আট দলের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত। এর আগে, গত মে মাসে জানা গিয়েছিল, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ভারত এশিয়া কাপে অংশ নেবে না বা আয়োজক হবে না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে এখন ভারতীয় বোর্ড আয়োজনে সম্মত হয়েছে। বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি তথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি শীঘ্রই এক বৈঠকে বসবেন টুর্নামেন্টের ভেন্যু এবং সূচি চূড়ান্ত করতে। টুর্নামেন্টের প্রস্তাবিত সময়সীমা হল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: দশ বছরে সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ঋণ মকুব ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
এই টুর্নামেন্টটি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেও ধরা হচ্ছে। এছাড়াও, স্পনসরদের সঙ্গে আলোচনা শীঘ্রই শুরু হবে, যাতে বিজ্ঞাপন ও সম্প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, এশিয়া কাপের অধিকাংশ অর্থনৈতিক সহায়তা আসে ভারতীয় স্পনসর ও সম্প্রচার সংস্থাগুলোর কাছ থেকে। ২০২৪ সালে সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক এশিয়া কাপের সম্প্রচারাধিকারের মালিকানা পায়, প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে আট বছরের জন্য।
এবারের টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান কমপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে এবং ফাইনালেও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য বিশাল লাভজনক সুযোগ তৈরি করবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছিল এশিয়া কাপ কি আদৌ হবে? চরম ডামাডোল অব্যাহত এশিয়া কাপ নিয়ে। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেটীয় সম্পর্ক কোনদিকে যাবে তা অজানা। পাকিস্তান সম্ভবত শ্রীলঙ্কাতেই খেলতে চাইবে। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মহসিন নকভি চালিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের।
কিন্তু ঢাকার সেই বৈঠকে যেতে রাজি ছিলেন না ভারতীয় বোর্ডের কর্তারা। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় ওই বৈঠকে যাবে না বিসিসিআই। জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ঢাকায় এই বৈঠক হয়, তাহলে ভারতীয় বোর্ড যাবে না। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতিই এক্ষেত্রে মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। জানা যায়, শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা, ওমান, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলির বোর্ডও বৈঠক ‘বয়কটে’র পথে হাঁটে। সকলের আপত্তি ঢাকা নিয়ে। যদিও অন্য দেশগুলির আপত্তিতেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন পিসিবি ও এসিসি’র প্রধান মহসিন নকভি। শেষে এদিন ভার্চুয়ালি ভারত অংশ নেয় বৈঠকে।
